আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল রায়ের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতের পুলিশের পরিদর্শক নীরেন্দ্রনাথ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, আজিজুল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের দেবরাইল গ্রামের আহাম্মদ আলী (৭০), তাঁর স্ত্রী মিনা বেগম (৫৫), ছেলে মোন্তাজ আলী (৪০), এন্তাজ আলী (৩৪), আলতাব হোসেন (৪৪) এবং একই এলাকার আনোয়ার হোসেন (৪৪)।
আদালত ও মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল সকালে নিজ বাড়িতে বসে স্বজনদের সঙ্গে গল্প করছিলেন সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের দেবরাইল গ্রামের আকবর আলী। এ সময় আসামিরা লাঠিসোঁটা, লোহার রডসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে আসামিরা হুমকি দিয়ে চলে যান। হামলায় আকবর আলী, তাঁর ছেলে আজিজুল ইসলাম ও আবদুর রশিদ গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে আজিজুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং আকবরকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১৭ এপ্রিল বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলা করেন আহত আকবর আলীর ছেলে মিজানুর রহমান। ঘটনার ২৪ দিন পর ২০০৭ সালের ৫ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজিজুলের মৃত্যু হয়। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আজ সেই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।