ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন

শিক্ষক হেনস্তার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন। শনিবার দুপুরে প্রশাসন ভবনের সামনেছবি: প্রথম আলো

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অছাত্র ও বহিরাগত ব্যক্তিদের দিয়ে শিক্ষকদের ‘লাঞ্ছিত’ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। তাঁদের এই কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। শনিবার বেলা ১২টায় প্রশাসন ভবনের সামনে তাঁরা এ মানববন্ধন করেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনার তদন্ত ও বিচারের দাবিতে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা।

মানববন্ধনে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মামুনুর রশিদসহ ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন। এ সময় তাঁদের হাতে ‘হেনস্তাকারীদের বিচার চাই’, ‘সন্ত্রাসের আস্তানা এ ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘বহিরাগতদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘প্রশাসন নীরব কেন?’ বিভিন্ন স্লোগান–সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক উপাচার্যের কার্যালয়ে গেলে বহিরাগত ও অছাত্ররা তাঁদের লাঞ্ছিত করেন এবং উসকানিমূলক কথা বলেন। এতে শিক্ষকদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন। এ ঘটনায় তাঁরা উপাচার্যকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিচ্ছেন। এর মধ্যে যদি অপরাধীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় না আনা হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

মানববন্ধন শেষে নেতা-কর্মীরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সেখানে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী উপস্থিত হন। এ সময় তাঁরা দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের দিয়ে একটি গ্রুপ ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে মানববন্ধন করা হয়েছে। এ সময় সেখানে শাখা ছাত্রলীগের কর্মী কামাল হোসেন, শাহিন পাশা, সাকিল আহমেদ ও প্রাঞ্জল উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শনিবার বেলা ১১টার দিকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী এবং নিরাপদ শিক্ষাঙ্গনের দাবিতে বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশ করেছে শাখা ছাত্রলীগ। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসে যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না হয়, সে জন্য সব সময় সজাগ থাকবে ছাত্রলীগ।