গ্রামে ঢুকল হনুমান, বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে বরণ করে নিলেন স্থানীয়রা
গ্রামবাসীর অজান্তে গ্রামে ঢুকে পড়ে একটি মুখপোড়া হনুমান। একপর্যায়ে গ্রামের ক্ষিতীশ কিসকু নামের এক ব্যক্তির বাড়ির আমগাছের ডালে এসে বসে হনুমানটি। স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই হনুমানকে দেখে আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। মুহূর্তের মধ্যে গ্রামের বিভিন্ন বয়সের মানুষ উৎসুক হয়ে ছুটে আসেন ক্ষিতীশের আমগাছের নিচে।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহামুদপুর ইউনিয়নের চালনিয়া (চকজুনিত) গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে হনুমানটি গাছ থেকে নেমে ক্ষিতীশের বাড়ির আঙিনায় এলে তাকে খাবার দেওয়া হয়। বেলা আড়াইটার দিকে হনুমানটি গাছে উঠে অন্যত্র চলে যায়।
এর আগে হনুমান আসার খবর পেয়ে শতাধিক মানুষ ওই গাছের নিচে ভিড় করেন। এ সময় পাশের বাড়িতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। পরে ঢোল-খঞ্জনি বাজিয়ে ও খাবার নিয়ে হনুমানকে বরণ করে নেন স্থানীয় লোকজন। ওই গ্রামের বেশির ভাগ বাসিন্দা সাঁওতাল সম্প্রদায়ের। ওই সম্প্রদায়ের ধর্মীয় রীতিতে হনুমানকে পূজা করা হয়। তাই ওই সময় স্থানীয় লোকজন হনুমানকে প্রণাম করে সবার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করেন।
ক্ষিতীশের ছেলে বাদল কিসকু প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ধর্মে হনুমানকে পূজা করার রীতি আছে। আমাদের গ্রামে হনুমানের আগমনে আমরা অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে সাধ্যমতো তাকে সম্মান করেছি। তবে বাইরের লোকজন এসে বিরক্ত করায় হনুমানটি অন্যত্র চলে গেছে।’
আজ বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ৮ নম্বর মাহামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাছান মো. ছালাহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, হনুমানটি কোথা থেকে এ গ্রামে এসেছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত হনুমানটি চালনিয়া গ্রামে অবস্থান করছিল। এখন হনুমানটি তলবরশিদ বিষ্ণুপুর গ্রামে হাজী তসলিম উদ্দিনের বাড়ির সামনে একটি তেঁতুলগাছে অবস্থান করছে। কেউ যেন হনুমানটির কোনো ক্ষতি করতে না পারে, সে জন্য সেখানে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে।