সোনারগাঁয়ে জমিসংক্রান্ত বিরোধে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

হত্যা
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছেন তাঁদের আরও এক ভাই। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের পাঁচপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই ভাই হলেন আসলাম সানি (৪৮) ও সফিকুল ইসলাম (৩৫)। তাঁদের আরেক ভাই রফিকুল ইসলামকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনজনই পাঁচপাড়া এলাকার মৃত সফিউল্লাহর ছেলে। হতাহতের ঘটনাটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান হাবিব।

পাঁচপাড়া এলাকার ওই তিন ভাইয়ের সঙ্গে চাচা মো. মহিউদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। তাঁদের বাড়ির পাশ দিয়ে সরকারি একটি সড়কের নালা করা হচ্ছে। ওই নালার জায়গা নির্ধারণ নিয়েই ঝগড়া ও তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা ও পুলিশ জানিয়েছে, আজ দুপুরে নালার স্থান নির্ধারণের সময় মহিউদ্দিন দাবি করেন, পুরো নালাটিই তাঁর জায়গা দিয়ে যাচ্ছে। তাঁর এমন দাবির বিরোধিতা করে তিন ভাতিজা। এ নিয়ে তর্কবিতর্ক বাধে। একপর্যায়ে মহিউদ্দিনের তিন ছেলে মফিজুল, মামুন, মোস্তফাসহ আরও কয়েকজন আসলাম, সফিকুল ও রফিকুলকে চাপাতি ও দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকেরা আসলাম ও সফিকুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতদের স্বজন আবু নাইম মিয়া বলেন, আসলাম সানী তাঁর প্রতিবেশী আতাউর রহমানের কাছ থেকে ৩ শতাংশ জমি কেনেন। কিন্তু তাঁর চাচা মহিউদ্দিনের তিন ছেলে মোস্তফা, মামুন ও মারুফ আসলামের কেনা জমিসহ পাশের আরও একটি জমি নিজেদের বলে দাবি করে আসছেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে।

ঘটনার পর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুল আলম জানান, নিহত দুই ভাই ও ঘাতকেরা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। তাঁদের মধ্যে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে পূর্বশত্রুতা ছিল। নালা তৈরি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ বাধলে তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

নিহত দুই ভাইয়ের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ঘটনার পর হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা পালিয়ে গেছেন। তাঁদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।