এ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী বছরের পরিকল্পনা নেব: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ছাগলের চামড়া বিক্রির অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী বছর সামষ্টিক কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের চামড়া বাজার পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
নাটোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দুপুরে বাণিজ্য উপদেষ্টা এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক হালিম সিকদারের সঞ্চালনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নেরও উত্তর দেন।
এবার ছাগলের চামড়া প্রতি বর্গফুট ২০ থেকে ২৭ টাকা নির্ধারণ করা হলেও নাটোরে পুরো একটি চামড়া ২০ টাকায় বিক্রি হতেও দেখা গেছে। বিষয়টি প্রথম আলোর প্রতিনিধি উপদেষ্টার নজরে আনলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। কাজের মধ্যে যেখানে ভুল করছি, সেখান থেকেই শিক্ষা নিচ্ছি। পরেরবার ভুল শোধরে নেওয়ার চেষ্টা করছি। এবারের ঈদে আমরা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছি। তবু সারা দেশে ছাগলের চামড়া নির্ধারিত দরের চেয়ে কম দরে কেনাবেচা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যে ব্যতিক্রম হয়েছে, তা স্বীকার করছি। তবে এ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী বছর সামষ্টিক কর্মপরিকল্পনা নেব।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ঈদের দিন একসঙ্গে লাখ লাখ চামড়া বাজারে আসে। ব্যবসায়িক রীতি অনুসারে পণ্যের সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম কমে যায়। চামড়ার ক্ষেত্রেও তাই হয়। বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা এই প্রথমবারের মতো সরকারের পক্ষ থেকে দেশের মাদ্রাসাগুলোতে চামড়া সংরক্ষণের জন্য বিপুল পরিমাণ লবণ সরবরাহ করেছিলাম। কোরবানির অধিকাংশ চামড়া যেহেতু মাদ্রাসাগুলোর মাধ্যমে বাজারে আসে, তারা চামড়া সংরক্ষণ করে কিছুদিন মজুত করলে চামড়ার সরবরাহ কম হতো, দাম বেশি পেত। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। তবু গরুর চামড়ার দাম অনেক বছরের মধ্যে এবার বেশি দরে বিক্রি হয়েছে।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামের কিছু চামড়া পচে যাওয়ার খবর গণমাধ্যমের ফলাও করে প্রচার সিন্ডিকেটকারীদের উসকে দিয়েছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ ধরনের খণ্ডচিত্র নিয়ে খবর প্রচার না করে সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন করলে দেশ লাভবান হতো।
সভায় ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি মৌসুমে নাটোর মোকামে ৫ লাখ গরুর চামড়া ও ১৫ লাখ ছাগলের চামড়া কেনাবেচার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে দেশের ৩২ জেলার লবণযুক্ত চামড়া এখানে বিক্রির জন্য আসতে শুরু করবে। ঢাকার ট্যানারিমালিকেরা এই সময় ওই মোকামে এসে চামড়া কিনতে শুরু করবেন। সভায় আগামী বছর ডিলারের মাধ্যমে সরাসরি ন্যায্যমূল্যে লবণ সরবরাহের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।