শেরপুরে কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

নকলা উপ‌জেলা কৃ‌ষি অ‌ফি‌সে কৃ‌ষি কর্মকর্তা‌কে মারধর ক‌রেন উপ‌জেলা ছাত্রদ‌লের সদস্যসচিব। গতকাল বুধবারছ‌বি: ভি‌ডিও থে‌কে নে‌ওয়া

শেরপুরের নকলায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রদলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সংগঠনের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিনকে কার্যালয়ে ঢুকে মারধরের অভিযোগ ওঠে রাহাত ও তাঁর সহযোগী ফজলুল হকের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় রাতে কৃষি কর্মকর্তা বাদী হয়ে নকলা থানায় মামলা করেন। মামলায় উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম (৩৫) ও ফজলুল হককে (৩২) আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে নকলা উপজেলা কমপ্লেক্সের কৃষি অফিসে ঢোকেন উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত ও ছাত্রনেতা ফজলুল হকসহ কয়েকজন। তাঁরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিনের কাছে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির তালিকা নিয়ে জানতে চান এবং কোন ‘নেতাকে’ কত বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, সে সম্পর্কেও প্রশ্ন করেন। এ সময় কৃষি কর্মকর্তা তাঁদের জানান, এই কর্মসূচিতে নির্ধারিত কৃষকদের নামেই বরাদ্দ দেওয়া হয়, রাজনৈতিক নেতাদের নামে নয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা গালাগাল ও হুমকি দেন, একপর্যায়ে কর্মকর্তাকে মারধর করেন। চিৎকার শুনে কার্যালয়ের কর্মচারীরা এসে শাহরিয়ার মোরসালিনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আরও পড়ুন

অভিযুক্ত রাহাত হাসান কাইয়ুম ও ফজলুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

নকলা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাসেল সরকার বলেন, ‘ছাত্রনেতা হয়ে একজন সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর করা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। দলের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজ সকালে কেন্দ্রীয় কমিটির চিঠি পেয়েছি।’

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনার পর সরকারি কাজে বাধা ও মারধরের অভিযোগে মামলা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে।