হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর মামলার রায়, তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

আদালতের রায়
প্রতীকী ছবি

মাগুরায় শালিখায় সাহেব আলী হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (প্রথম) বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর এই রায় ঘোষণা করা হলো।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন শালিখা উপজেলার কোটভাগ গ্রামের আবদুস সবুর (৭২), হাবিবুর রহমান (৭০) ও বুলু মোল্লা (৫৫)। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা তিনজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ৮ মার্চ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে সাহেব আলী ও তাঁর বাবা আমজাদ আলী বাড়ি থেকে মাঠের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় গ্রামের কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পূর্ব বিরোধ ও গ্রাম্য দলাদলির জের ধরে আসামিরা দেশি অস্ত্র নিয়ে সাহেব আলীর ওপর হামলা চালান। ঠেকাতে গেলে আসামিরা আমজাদ হোসেনকে মারধর করেন। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত সাহেব আলীকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয়। ওই দিন নিহতের বাবা আমজাদ আলী বাদী হয়ে শালিখা থানায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। ওই বছরের ৪ আগস্ট পুলিশ ওই ৩৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

মামলার বাদী আমজাদ আলী বলেন, ‘বিচার চলার সময় আসামিরা বারবার উচ্চ আদালতে গিয়ে বিচার বিলম্বিত করেছেন। ২১ বছর পরে হলেও ছেলে হত্যার যে বিচার দেখে যেতে পেরেছি, তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি লাগছে। হত্যাকাণ্ডে আরও অনেকে জড়িত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা ছাড়া পেয়ে গেছেন।’

মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (প্রথম) সরকারি কৌসুলি মসিয়ার রহমান বলেন, ২০০৩ সালে এই মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বিচারকার্য চলার সময় ৩৬ জনের মধ্যে ৩ জন আসামির মৃত্যু হয়। বাকি ৩৩ জনের মধ্যে ৩ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর ৩০ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাদীপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।