‘মওকুফ করা ফি’ নতুন করে আদায়ের চেষ্টার প্রতিবাদে বরিশালে মহাসড়ক অবরোধ

বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়
ছবি: প্রথম আলো

দ্বিতীয় বর্ষের মওকুফ করা ৬০০ টাকা ফি তৃতীয় বর্ষে এসে আদায়ের প্রতিবাদে পরীক্ষা বর্জনের পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে একটা থেকে ওই সড়কে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক ঘণ্টা পর কলেজের অধ্যক্ষ দাবিদাওয়া মেনে নিলে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন ওই রুটে চলাচল করা অসংখ্য যাত্রী।

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএম কলেজের সামনের সড়কে ঘণ্টাখানেক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এতে নথুল্লাবাদ থেকে মূল শহরের দিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রভাবে নগরের ভেতরের সব কটি সড়কেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে দাবি আদায়ে কলেজের সামনের সড়ক ছেড়ে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, গত বছর স্নাতক ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীদের করোনার সময়ে বেতন-ফিসহ সব অকার্যকর ফি মওকুফের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে কলেজ প্রশাসন অকার্যকর ফি বাবদ ৬০০ টাকা মওকুফ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু তৃতীয় বর্ষে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় পুনরায় সেই মওকুফকৃত ফি বকেয়া হিসেবে আদায়ের উদ্যোগ নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে আজ সকাল সাড়ে নয়টায় বিএম কলেজ জিরো পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানান এবং মওকুফ করা ফি দিতে অস্বীকৃতি জানান।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ তাঁদের টেস্ট পরীক্ষা ছিল। কলেজ থেকে জানানো হয়, যাঁরা ফি দেননি, তাঁরা টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। এরপরই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে কলেজের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

মো. হানিফ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের পর কলেজের অধ্যক্ষ কথা দিয়েছেন, বাড়তি ৬০০ টাকা ফি আর নেওয়া হবে না। বিষয়টি নোটিশ আকারেও জানিয়ে দেওয়া হবে। তাই আমরাও আন্দোলন থেকে সরে এসেছি।’

বিএম কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ফি নিয়ে আন্দোলন করেছেন। কিন্তু ওই সময় ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়নি। বলা হয়েছিল, করোনার কারণে পরে দেবেন তাঁরা। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শিক্ষার্থীদের ওই ৬০০ টাকা মওকুফ করার। শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে দিয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’