ঝিনাইদহে অপহরণের পর শিশু হত্যার দায়ে চারজনের যাবজ্জীবন

ঝিনাইদহে শিশুকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তদের আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে
ছবি: প্রথম আলো

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার অচিন্তনগর গ্রামে অপহরণের পর এক শিশুকে হত্যার দায়ে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে এ রায় দেন দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার অচিন্তনগর গ্রামের মো. জাফর মন্ডল, শিপন বিশ্বাস, মিন্টু মুন্সী ও মোছা. নূপুর। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এরপর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রায়ে অপর পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

নিহত শিশুর নাম মনিরা খাতুন (৫)। সে জেলা সদরের অচিন্তনগর গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৭ জুলাই বিকেলে বাড়ির পাশে খেলা করছিল মনিরা। এরপর সে নিখোঁজ হয়। পরে ওই দিনই সন্ধ্যায় অপহরণকারীরা পরিবারের কাছে মুঠোফোনে মুক্তিপণ চেয়ে কল করে। এরপর শিশুটির বাবা রমজান আলী ১০ জুলাই থানায় অপহরণ মামলা করেন। এদিকে মনিরা ঘন ঘন কান্নাকাটি করলে তাকে একাধিক ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন অপহরণকারীরা। এতে মারা যায় শিশুটি। এরপর লাশ একটি ড্রামের ভেতর রেখে পাটখেতে ফেলে রাখা হয়।

১২ তারিখ সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ মনিরা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে। পরে অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। পুলিশ মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে মামলার রায় দেওয়া হলো।

মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসারত হোসেন বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। একটা শিশুর হত্যার ঘটনায় আরও কঠোর শাস্তি আশা করেছিলাম। উচ্চ আদালতের আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য পুনরায় আপিল করব।’