খাগড়াছড়ির ৫ উপজেলায় ইউপিডিএফের আধা বেলার সড়ক অবরোধ

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ সংগঠক অংথুই মারমা হত্যার প্রতিবাদে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন সংগঠনের কর্মীরা। আজ সকাল সাতটার দিকে গুইমারা উপজেলার বাইল্ল্যাছড়ি এলাকায়
ছবি: জয়ন্তী দেওয়ান

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক অংথুই মারমা ওরফে আগুনকে (৫২) হত্যার প্রতিবাদে জেলার পাঁচ উপজেলায় আধা বেলা সড়ক অবরোধ হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৬টায় অবরোধ শুরু হয়ে চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

আধা বেলার হরতালে কোনো ধরনের ভাঙচুরের খবর পাওয়া যায়নি, তবে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত গুইমারার বাইল্ল্যাছড়ি, যৌথ খামার সিন্দুকছড়ি, রামগড়ের পাতাছড়া, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি বিভিন্ন সড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করতে দেখা গেছে ইউপিডিএফ কর্মীদের। অবরোধের আওতাধীন পাঁচ উপজেলা মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি ও রামগড়ে কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। খাগড়াছড়ি থেকে দূরপাল্লার কোনো গাড়িও ছেড়ে যায়নি। নৈশ কোচ হিসেবে আসা গাড়িগুলোকে পুলিশি পাহারায় খাগড়াছড়িতে আনা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার নাইমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রতিটি সড়কের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় নিরাপত্তাবাহিনী টহল দিয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে গুইমারায় দেওয়ানপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে অংথুই মারমা (৫২) নামের ইউপিডিএফের একজন সংগঠক নিহত হন। অংথুই মারমা একই উপজেলার বুদং পাড়ার (যৌথ খামার) কংহ্লাউ মারমার ছেলে ও ওই এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে অংথুই মারমা সাংগঠনিক কাজে যাচ্ছিলেন। এ সময় দেওয়ানপাড়া এলাকায় আগে থেকে ওত পেতে থাকা মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার দুপুরে রামগড় ও গুইমারা উপজেলায় সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন ইউপিডিএফের সমর্থকেরা।