সৈয়দপুরে সড়কের পাশে ফেলে যাওয়া সেই বৃদ্ধা মারা গেছেন
বৃদ্ধা রেহানা বেওয়ার স্বামী-ছেলে মারা গেছেন। থাকতেন পুত্রবধূর সঙ্গে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বাঁশাবাড়ি মহল্লার একটি ভাড়াবাড়িতে। একপর্যায়ে পুত্রবধূর অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেলে তিনি একা হয়ে পড়েন। পুত্রবধূর পাঠানো সামান্য টাকা দিয়ে কোনোমতে চলতেন। কিন্তু বাড়িভাড়া দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না।
এভাবে প্রায় এক বছরের বাড়িভাড়া বকেয়া পড়ে রেহানা বেওয়ার। এমন অবস্থায় বাড়ির মালিক গত রোববার সকালে রেহানাকে বাড়ি থেকে সাত কিলোমিটার দূরে কামারপুকুরের ডাঙ্গাপাড়ার রাস্তার পাশে ফেলে আসেন। সেখানে শীতের মধ্যে জ্বরে জবুথবু অবস্থায় কাঁপছিলেন বৃদ্ধা। পরে সমাজসেবক ও এলাকাবাসীর সহায়তায় তাঁর জায়গা হয় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমে। তাঁকে নিয়ে ৬ জানুয়ারি প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বৃদ্ধাশ্রমের পরিচালক সাজেদুর রহমান নিজেই উপস্থিত হয়ে রেহানাকে বৃদ্ধাশ্রমে নিয়ে যান। ওই ঘটনার তিন দিন পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে বৃদ্ধাশ্রমে মারা গেছেন রেহানা বেওয়া। বৃদ্ধাশ্রমের পরিচালক সাজেদুর রহমান বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
স্বেচ্ছাসেবী নওশাদ আনছারী বলেন, ওই বৃদ্ধার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সৈয়দপুর থেকে তাঁকে কিশোরগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এখন আবার কিশোরগঞ্জ থেকে সৈয়দপুরে আনা হচ্ছে। শহরের গোলাহাট কবরস্থানে দাফনের সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমের পরিচালক তাঁর জানাজার জন্য গোসল ও কাফনের ব্যবস্থা করেছেন।