সোনারগাঁয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে হাতুড়িপেটা করে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

লাশ
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সাইদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই গৃহবধূর নাম আঁখি আক্তার। তিনি উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের ইব্রাহিম প্রধানের মেয়ে ও সাইদুল ইসলামের স্ত্রী। সাইদুল চেঙ্গাকান্দি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার পর থেকে সাইদুল পলাতক। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার সকালে নিহত আঁখির বাবা ইব্রাহিম প্রধান বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় সাইদুলকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।

ইব্রাহিম প্রধান প্রথম আলোকে বলেন, ১৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে আঁখির সঙ্গে সাইদুলের বিয়ে হয়। তাঁদের ১২ ও ১০ বছর বয়সী দুই ছেলে ও চার ৪ মাস বয়সী এক মেয়ে আছে। তবে বিয়ের পর থেকেই ছোটখাটো বিভিন্ন বিষয়ে আঁখিকে সাইদুল মারধর করতেন। গতকাল রাতে পারিবারিক কলহের জেরে সাইদুল ও আঁখির মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। ইব্রাহিম দাবি করেন, কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাইদুল ক্ষিপ্ত হয়ে আঁখির হাত-পা বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে তাঁর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে পেটানো শুরু করেন। এতে আঁখি গুরুতর আহত হন।

একপর্যায়ে আঁখিকে মারধর করতে দেখে তাঁর সন্তানেরা চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। এ সময় সাইদুল কৌশলে পালিয়ে যান। পরে প্রতিবেশীরা আঁখিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, নিহত ওই গৃহবধূর পুরো শরীরেই আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গৃহবধূর মাথা ও ঘাড়ে ভারী কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।  তবে তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।