সাজেকে পাহাড়ধসে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ, আটকা পড়েছে ছয় শতাধিক পর্যটকবাহী গাড়ি

আজ বেলা ১১টার দিকে এক্সকাভেটর দিয়ে সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে পাহাড়ধসে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের শুকনা নন্দারাম এলাকায় পাহাড় ধসে সড়কের ওপর পড়লে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। তবে আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে সড়কের ওপর পড়ে থাকা মাটি সরানোর কাজ শুরু করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় লোকজন।

এদিকে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সড়কের দুই দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। এ ছাড়া সাজেক ও বাঘাইহাট এলাকায় ছয় শতাধিক পর্যটকবাহী গাড়ি আটকা পড়েছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে শুকনা নন্দারাম এলাকায় পাহাড় ধসে সড়কের ওপর পড়ে। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তবে ধসে পড়া মাটির পরিমাণ বেশি হওয়ায় রাতে মাটি সরানোর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। পরে আজ বেলা ১১টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি এক্সকাভেটর (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। সড়কের ওপর পড়া মাটি সরাতে কমপক্ষে পাঁচ ঘণ্টা লাগবে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

সাজেক রুইলুই পর্যটন কেন্দ্র
ফাইল ছবি: সুপ্রিয় চাকমা

রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বাঘাইহাট থেকে সাজেক যাওয়ার জন্য তিন শতাধিক যানবাহন প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে পাহাড়ধসের কারণে এসব গাড়ি বাঘাইহাট থেকে ১০ নম্বর এলাকা পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় অপেক্ষা করছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল নন্দারাম এলাকায় সড়কের দুই দিকে শতাধিক গাড়ি আটকা পড়ে আছে। অন্যদিকে সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র থেকে ফেরার অপেক্ষায় আছে আরও তিন শতাধিক যানবাহন।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয় লোকজন সম্মিলিতভাবে সড়কের ওপর পড়ে থাকা মাটি সরানোর চেষ্টা করছে। বেলা ১১টার দিকে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। এভাবে কাজ চলতে থাকলে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে সব মাটি সরানো যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যান চলাচল স্বাভাবিক হতে বিকেল হতে পারে।

রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রের রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুর্পন দেব বর্মন প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিদিন রুইলুই থেকে বেলা ১১টা ও বেলা ৩টায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারায় পর্যটকের গাড়িবহর নেওয়া হয়। বেলা ১১টায় তিন শতাধিক যানবাহনের তিন হাজার পর্যটক ফেরত যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা ফিরতে পারেননি। বাঘাইহাট থেকে সাজেকে আসার জন্য তিন শতাধিক গাড়ি আটকা পড়েছে। আটকে পড়া পর্যটকদের জন্য রিসোর্ট-কটেজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা আজ আসতে না পারলে শত শত ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।