ফরিদপুরে ওবায়দুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে আবারও আলোচনায় আওয়ামী লীগ নেতা
ফরিদপুরে বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে আবারও আলোচনায় আওয়ামী নেতা নূরুদ্দীন মাতুব্বর। গতকাল রোববার বিকেলে তিনি তাঁর সমর্থকদের নিয়ে নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নে প্রয়াত ওবায়দুর রহমানের সমাধিতে যান এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
নূরুদ্দীন মাতুব্বর সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক। তাঁর বাড়ি সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামে। তিনি গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
এর আগে গত ২২ জুন সালথা উপজেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলনে নূরুদ্দীন মাতুব্বরকে ‘বারবার কারা নির্যাতিত বিএনপি নেতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিশাল মোটর শোভাযাত্রা বের করা হয়। তখন তিনি কারাগারে ছিলেন।
গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নূরুদ্দীন মাতুব্বর তাঁর কিছু সমর্থককে নিয়ে ওবায়দুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এতে লেখা ছিল ‘গট্টি ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনায় গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। সৌজন্যে মো. নূরুদ্দীন মাতুব্বর, গট্টি ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য’।
এ বিষয়ে নূরুদ্দীন মাতুব্বর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি জীবনে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি নাই। যারা চাঁদাবাজি ও লুটপাট করে, তারা আমাকে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের সহযোগী বানাতে চেয়েছে। আমি ১৯৮৬ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতি করি এবং ২০০৮ পর্যন্ত গট্টি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। ৩০ বছর ধরে ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এখন সময় এসেছে বিএনপির রাজনীতি মজবুত করার এবং আমি সেই কাজ করছি।’
নগরকান্দার লস্করদিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি বাবুল তালুকদার বলেন, ‘আমি শুনেছি নূরুদ্দীন মাতুব্বর বেশ কিছু সমর্থক নিয়ে আমাদের প্রয়াত নেতা কে এম ওবায়দুর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। কেউ কোনো নেতার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলে তাঁকে বাধা দেওয়ার কোনো উপায় নেই। তিনি আমাদের কাছে এ ব্যাপারে কোনো অনুমতিও নেননি। নূরুদ্দীন মাতুব্বর বিএনপিতে যোগ দেবেন কি না, এটা দলীয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমার বলার কিছু নেই।’