সেই অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করতে নড়াইল জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে চিঠি

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে মিছিলে অস্ত্র নিয়ে অংশগ্রহণ করেন এক ব্যক্তি। বুধবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন এক কর্মীর প্রদর্শন করা অস্ত্রটির (শর্টগান) লাইসেন্স (নিবন্ধন) বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহমুদুল হক নড়াইল জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে এই চিঠি পাঠিয়েছেন।

আরও পড়ুন

অস্ত্রটির লাইসেন্স মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ অনুসারী কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুলের (কলি) গানম্যান (দেহরক্ষী) আশিকুজ্জামানের নামে লাইসেন্স নেওয়া। আশিকুজ্জামান নড়াইল জেলা কালিয়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের হাসান সারোয়ারের ছেলে। তাঁর প্রদর্শন করা অস্ত্রটি তুরস্কের তৈরি, পয়েন্ট ১২ বোর শর্টগান (নম্বর-১৭ই-৫১৫)। এসব তথ্য নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহমুদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলে ব্যবস্থা নিতে নড়াইল জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

গত বুধবার গোলাম দস্তগীর গাজী সশস্ত্র কর্মীসহ মিছিল করে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুলের দেহরক্ষীর অস্ত্রটি জব্দ করে বাতিলের উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি সিনিয়র সহকারী জজ শেখ আনিসুজ্জামান আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে গোলাম দস্তগীর গাজীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান। গতকাল বেলা ১১টায় প্রতিনিধির মাধ্যমে নোটিশের জবাব দিয়েছেন পাটমন্ত্রী। তবে কী জবাব দিয়েছেন, তা প্রকাশ করা হয়নি।

আরও পড়ুন

নড়াইল জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে পাঠানো নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সই করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুলের গানম্যান আশিকুজ্জামান মিছিলে অস্ত্রসহ অংশ নেন এবং প্রার্থীর পক্ষে স্লোগান দেন। ফলে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। বিদ্যমান আইন ও নীতিমালা মোতাবেক অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল ও আগ্নেয়াস্ত্রটি সরকার বরাবর জব্দ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়। অস্ত্রটি বর্তমানে রূপগঞ্জ থানায় জব্দ করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে অস্ত্রধারীর অস্ত্র ব্যবহারে আইনকানুন প্রতিপালনে অক্ষমতা ও অস্ত্র প্রদর্শনের পরিস্থিতি পরিবেশ বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞানের অভাব থাকার কারণে আশিকুজ্জামানের নামে অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে চিঠি দেন পুলিশ সুপার।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নড়াইল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, ‘চিঠি এখনো আমরা পাইনি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন