কিশোরগঞ্জে যুবদলের সমাবেশে পুলিশের বাধা

সমাবেশস্থলে পুলিশ সদস্যদের তৎপরতা দেখা গেছে। আজ দুপুরে শহরের স্টেশন রোডে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিতে যুবদল কর্মী শাওন ভূঁইয়া (২২) নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা যুবদল। তবে পুলিশি বাধার কারণে সমাবেশ ‘সংক্ষিপ্ত’ করতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন যুবদলের নেতা-কর্মীরা। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের স্টেশন রোডে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জেলা যুবদল এ সমাবেশের আয়োজন করে।

যুবদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকেই যুবদলের কর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আসতে শুরু করেন। তবে সমাবেশ শুরুর আগেই সেখানে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিও দেখা যায়। দুপুর ১২টার দিকে যুবদলের নেতারা বক্তব্য দিতে শুরু করেন। তবে সমাবেশ চলাকালে পুলিশের সদস্যরা একাধিকবার যুবদলের ব্যানার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে দাবি করেছেন নেতা-কর্মীরা।

তবে পুলিশি বাধার মধ্যেই সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ। কর্মসূচিতে জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোশতাক আহমেদ, সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুজ্জামান পার্নেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব শাহ আলমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, সমাবেশ শুরুর আগে থেকেই পুলিশ যুবদলের নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। সমাবেশ শুরুর পর পুলিশ একাধিকবার ব্যানার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। পুলিশি বাধার কারণে সমাবেশ সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছে।

জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ দাউদ বলেন, যুবদলের অনুষ্ঠানে পুলিশ কোনো বাধা দেয়নি। বরং পুলিশ সেখানে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে সচেতন ছিল।

প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও দলীয় নেতা-কর্মী হত্যার প্রতিবাদে মুন্সিগঞ্জ শহরের পাশে মুক্তারপুরে গত বুধবার বেলা তিনটার দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় গুলিতে শাওন ভূঁইয়া ও বিএনপির সমর্থক জাহাঙ্গীর মাতবর (৩৮) গুরুতর আহত হন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে শাওন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।