জয়ের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন সিমিন হোসেন ও সোহেল তাজ

সংসদ নির্বাচনে ফল ঘোষণার পর বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন গাজীপুর -৪ (কাপাসিয়া) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি। সঙ্গে তাঁর ছোট ভাই সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। রোববার রাতে কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদে
ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে জয় পেয়েছেন তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা ও বর্তমান সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন (রিমি)। এবার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৪৫ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি।

বেসরকারি ফলাফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে সিমিন হোসেন পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৭২৯ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাঁর ফুফাতো ভাই ঈগল প্রতীকের আলম আহমদ পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৪৫ ভোট। ফল ঘোষণার পর বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে সিমিন হোসেন রোববার রাতেই নেতা–কর্মীদের সামনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছোট ভাই ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ।

আরও পড়ুন

বোনের বিজয়ে সোহেল তাজ বলেন, ‘গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সবচেয়ে বড় ব্যবধানে নৌকা জয় লাভ করেছে। এটা আমাদের সবার পরিশ্রমের অর্জন। এই বিজয় আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজয়। কালোটাকা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে এখনো একটা উপজেলা যদি থাকে, তাহলে সেটা কাপাসিয়া। আমরা প্রমাণ করেছি আবারও যে কাপাসিয়ার মানুষ নৌকার ভক্ত।’

কাপাসিয়াকে দুর্নীতিমুক্ত রাখার এবং আরও উন্নত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সোহেল তাজ বলেন, ‘এই বিজয়টাকে ধারণ করে আগামী দিনে যাতে আরও ভালো করতে পারি, কাপাসিয়াকে যেন আরও উন্নত, সমৃদ্ধ করতে পারি। এই কাপাসিয়াকে যেন আমরা কালোটাকা, অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত রাখতে পারি, এর নেতৃত্ব দিবেন সিমিন হোসেন রিমি।’

এবারের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে ১২২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১০ হাজার ৭৪৭। নির্বাচন কমিশনের হিসাবে সেখানে ভোট পড়েছে ৪৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে নেতা–কর্মীদের পরিশ্রমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সিমিন হোসেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা যে পরিশ্রম করেছে, এই পরিশ্রমের কোনো তুলনা হয় না। আমাদের সবকিছু ছিল দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে। সেই যুদ্ধটাই করেছি ভোটের মাধ্যমে। সে জন্য আমি সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

সিমিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে যে এটা বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের জন্মস্থান। এখানে যেন অন্যায্য কোনো কিছু না ঘটে। সবাই যেন আমরা আরও নম্র হই, ভদ্র হই। কোনো কিছু যদি ভালোবাসা দিয়ে জয় করতে পারা যায়, তাহলে সেটা অন্তরে গাঁথা থাকে। রাগ করে জিতলে তা ক্ষণস্থায়ী হয়, আমাদের সবকিছু করতে হবে ভালোবাসা দিয়ে।’