যশোরে তরুণকে লোহার রড দিয়ে পেটানোর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

মরদেহ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিওরদাহ গ্রামে আল আমিন (২৫) নামের এক তরুণকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার সকালে তিনি মারা যান।

নিহত আল আমিন ঝিকরগাছা উপজেলার বাউশা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে। তিনি পার্শ্ববর্তী শিওরদাহ গ্রামে শ্বশুর মোসলেম উদ্দিনের বাড়িতে বসবাস করছিলেন।

এ ঘটনায় ইমরান সরদার (২১) নামের অভিযুক্ত এক তরুণকে আটক এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লোহার রড উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক ইমরান ঝিকরগাছা উপজেলার শিওরদাহ গ্রামের আজিজুর সরদারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, আল আমিন ও ইমরান একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। কিছুদিন আগে ইমরানের কাছ থেকে আল আমিন ২ হাজার ৪০০ টাকা ধার নেন। ওই টাকা চাইতে গেলে দুজনের মধ্যে কয়েক দফা তর্ক হয়। গত শনিবার রাতে আল আমিন তাঁর শ্বশুরবাড়ির পাশে নির্মাণধীন একটি ভবনে গিয়েছিলেন। ইমরান সেখানে গিয়ে তাঁর কাছে পাওনা টাকা চান।

এটা নিয়ে তর্কের একপর্যায়ে ওই ভবনে থাকা লোহার রড দিয়ে আল আমিনকে পিটিয়ে ফেলে রেখে যান ইমরান। রাতে আল আমিন ওই ভবন থেকে নিচে পড়ে যান। সকালে স্থানীয় লোকজন তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত প্রথম আলোকে বলেন, পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে আল আমিন ও ইমরানের মধ্যে তর্ক হয়েছিল। টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করায় ইমরান নির্মাণাধীন ভবনে থাকা লোহার রড দিয়ে আল আমিনকে বেদড়ক পিটুনি দেন। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল আমিন মারা যান।

আজ সকালে ইমরানকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে ওসি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লোহার রড জব্দ করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।