পুলিশ ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা গেছে, এক বছর ধরে চকমুক্তার মণ্ডলপাড়া মহল্লায় ভাড়া বাসায় থাকছেন হাবিব ও তাঁর স্ত্রী মোসলেমা। তাঁদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। হাবিবের বাড়ি নীলফামারী জেলার উত্তর দুরাকুটি গ্রামে। তবে তাঁর স্ত্রী মোসলেমার বাবার বাড়ি নওগাঁ শহরের মাস্টারপাড়া মহল্লায়।
গতকাল রাত আটটার দিকে তাঁদের বাসার পেছনে হাবিব ও মোসলেমার সঙ্গে বুলবুল আহমেদকে তর্ক করতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। একপর্যায়ে শরীরে আগুন লাগা অবস্থায় পার্শ্ববর্তী একটি ডোবায় ঝাঁপ দেন বুলবুল। কিন্তু কচুরিপানায় ভর্তি ডোবাটিতে পানি ছিল না। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা গিয়ে বস্তা ও পাশে পড়ে থাকা ইটের গুঁড়া (রাবিশ) দিয়ে তাঁর শরীরের আগুন নেভান।
এরপর রাত ৯টার দিকে তাঁকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। বুলবুল আহমেদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাঁকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আজ সকালে হাবিবকে থানা হেফাজতে নেয় সদর থানার পুলিশ।
স্থানীয় এক ব্যক্তির দাবি, বুলবুল ও মোসলেমার মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করছিলেন হাবিব। এটা নিয়ে সম্প্রতি হাবিব ও মোসলেমার মধ্যেও দাম্পত্য কলহ হয়। গতকাল রাতে বুলবুল মোসলেমার সঙ্গে দেখা করতে এলে হাবিবের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়।
এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তের স্বার্থে ও হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হাবিব নামের এক যুবককে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে হাবিবের স্ত্রী পলাতক আছেন। মামলা হলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।