চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণে কামরুল হোসেন (৪৫) নামের এক কৃষকের একটি আধা পাকা বসতঘর পুড়ে গেছে। এতে তিনিসহ পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন।
গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে নয়টার দিকে উপজেলার খর্গপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পরিবার, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল রাত পৌনে নয়টার দিকে কৃষক কামরুল হোসেনের স্ত্রী রহিমা বেগম (৩৫) বসতঘরের একপাশে রান্নাঘরে সিলিন্ডারের গ্যাসের সাহায্যে চুলায় খাবার গরম করছিলেন। বিকট শব্দে গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হলে সেখানে আগুন ধরে যায়। ওই আগুন ছড়িয়ে পড়লে অল্প সময়ের মধ্যে মালামালসহ ঘরটি পুড়ে যায়।
এ সময় রহিমা বেগম, কামরুল হোসেন, তাঁদের মেয়ে ফাহিমা আক্তার (২০) ও ফারিহা আক্তার (১২) দগ্ধ হন। পাশের ঘর থেকে আগুন নেভাতে এসে দগ্ধ হন কামরুল হোসেনের ভাতিজা মো. সজীব (১৯)। এ সময় তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের অফিসে জানান।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশনপ্রধান মো. আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নেভান।
ওই পরিবারের স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে দগ্ধ পাঁচজনকে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে গতকাল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাঁদের।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে কৃষক কামরুল হোসেনের চাচাতো ভাই মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে রহিমা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর শরীরের ৫৮ শতাংশ এবং বাকিদের শরীরের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। একমাত্র বসতঘর পুড়ে যাওয়ায় পরিবারটি এখন সর্বস্বান্ত। এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেনু দাস প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে আজ বিকেলের মধ্যে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।