বিএনপি সব সময় সংস্কারের পক্ষে কথা বলেছে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান বলেছেন, ‘অনেকেই সংস্কারের কথা বলছেন। প্রত্যেকের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, এই সংস্কারের প্রস্তাব প্রথম দিয়েছে বিএনপি। বিএনপি সব সময় সংস্কারের পক্ষে কথা বলেছে। তবে সেই সংস্কার মানে বইয়ের কয়েক লাইন পরিবর্তন নয়। সংস্কার বলতে সেটাই বুঝি, যে সংস্কার করলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। যে সংস্কার করলে বেকার সমস্যার সমাধান হবে। যে সংস্কার করলে নারীদের স্বাধীনতার অধিকার নিশ্চিত হবে। যে সংস্কার করলে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। যে সংস্কার করলে দেশের সন্তানেরা শিক্ষা পাবে। যে সংস্কার করলে কিঞ্চিৎ হলেও দেশের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাবে। আমি সেই বিষয়গুলোকেই সংস্কার বলছি।’
সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তারেক রহমান ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে যশোর টাউন হল মাঠে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২টার পর থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা দলে দলে আসতে থাকেন শহরের ঐতিহাসিক টাউন হল মাঠে। লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা আর দলীয় পতাকা নিয়ে জড়ো হন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য শুনতে স্মরণসভা রূপ নেয় জনসভায়।
সভায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বক্তব্য রাখার এক পর্যায়ে বিকেল চারটায় ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ডামি ভোট, ভোটারবিহীন ভোট কিংবা ডাকাতির মাধ্যমে পতিত স্বৈরাচারী সরকার দেশের মানুষের প্রতিটি গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। ২০১৪ সালের আন্দোলনে দেখেছি, তরিকুল ইসলাম কীভাবে অবদান রেখেছিলেন। গণতন্ত্রের পক্ষে মানুষকে সংগঠিত করেছিলেন। দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা সাক্ষী রয়েছেন। তিনি যত দিন জীবিত ছিলেন, তত দিন গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার লড়াই চালিয়ে গেছেন।’
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, খুলনা জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা টি এস আইয়ুব, যশোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান খান, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান প্রমুখ।
সভার অন্য বক্তারা বলেন, যশোরের সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তরিকুল ইসলাম। যার প্রমাণ আজকের মাঠের উপস্থিতি। তৃণমূলের সঙ্গে তরিকুলের ছিল নিবিড় সম্পর্ক। তিনি কখনো তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি।