কুষ্টিয়ায় কুলখানির আয়োজন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে একজন নিহত

লাশ
প্রতীকী ছবি

কুলখানির আয়োজন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে কুষ্টিয়ায় স্বজনদের হামলায় বকুল বিশ্বাস (৬০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বকুল বিশ্বাস হাতিয়া গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে নিহত বকুল বিশ্বাসের চাচি মারা যান। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। চাচির কুলখানি অন্য চাচাতো ভাইয়েরা বড় করে আয়োজন করে তাঁদের সমাজের লোকজনকে খাওয়ানোর দাবি তোলেন। এতে বকুল বিশ্বাস ও তাঁর পরিবারের লোকজন রাজি হননি।

গত শনিবার বকুল বিশ্বাস তাঁদের সমাজের লোকজন নিয়ে সীমিত আকারে চাচির কুলখানির আয়োজন শেষ করেন। এরই জের ধরে রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহিন আক্তার বলেন, ‘রাত নয়টার পর আমরা স্থানীয় চায়ের দোকানে বসে ছিলাম। এ সময় বকুলের চাচাতো ভাই শিপন বিশ্বাসসহ তাঁর ২০-২৫ সহযোগী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। হামলায় বকুলসহ আটজন গুরুতর আহত হন। তাঁদের মধ্যে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চারজনকে ভর্তি করা হয়। এ সময় চিকিৎসক বকুল বিশ্বাসকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার বলেন, রাতে চারজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে বকুল নামের একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বাকিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শিপন বিশ্বাস পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান বলেন, দাওয়াত খাওয়াকে কেন্দ্র করে সামাজিক দলাদলি নিয়ে হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হবে।