সন্ত্রাসীদের প্রোমোট করলে বিদেশিদের বারোটা বাজবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

‌সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে আব্দুল মোমেন রোববার সকালে নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় প্রচারণা চালান
ছবি: প্রথম আলো

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সিলেট-১ (সিলেট সিটি করপোরেশন ও সদর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের নানা ধরনের কথা এখন কমে গেছে। সন্ত্রাসীদের কোথাও জায়গা নেই। ওরাও (বিদেশিরা) দেখেছে, সন্ত্রাসীদের প্রোমোট (তুলে ধরলে) করলে ওদের বারোটা বাজবে। সুতরাং তারা চুপসে গেছে। তারাও বলেছে, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আসো। এটাই সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ।”’

রোববার বেলা ১১টার দিকে সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় এ কে আব্দুল মোমেন নির্বাচনী প্রচারণা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব মন্তব্য করেন।
এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, ‘যাদের প্রতি একটু নরম ছিল তারা (বিদেশিরা), তারাই এখন ওদের (বিএনপি) পছন্দ করে না। কারণ, বিএনপি এখন দল নয়, সন্ত্রাসী হয়ে গেছে। সন্ত্রাসীর জায়গা পৃথিবীর কোথাও নেই।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যদি সরকার অপছন্দ হয়, নিশ্চয় আপনি জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার পরিবর্তন করবেন। কিন্তু সন্ত্রাসী তৎপরতা করে, জ্বালাও-পোড়াও করে নিরীহ মানুষ মেরে ফেললে কোনো লোকই সেটা গ্রহণ করবে না। সুতরাং তাদের (বিএনপির) নেতৃত্বের দুর্বলতা অনেক বেশি। তারা আসলেই বাস্তববাদী নয়। তারা যদি বাস্তববাদী হয়ে নির্বাচনে আসত, এবার যদি সরকার গঠন না-ও করত, ভবিষ্যতে সুযোগ ছিল। কিন্তু সে সুযোগও তারা হারাল।’

অনেক অনেক লোক ভোট দিলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যাবে মন্তব্য করে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সব প্রার্থীকেই সমানভাবে দেখি। অনেক অদৃশ্য ভোট থাকবে। নির্বাচনের সময় যারা নির্বাচনে আসনেনি, তারা কিন্তু অদৃশ্য ভোট হয়ে যায়। গত মেয়র ইলেকশনে (সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন) অদৃশ্য ভোট অনেক ছিল। এ জন্য আমরা ওদের সুযোগ দেব না।...যদি অনেক অনেক লোক ভোট দেয়, তাহলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি বাড়বে। যারা অগ্নিসন্ত্রাস করছে, গাড়ি জ্বালাচ্ছে, বাড়ি জ্বালাচ্ছে, পুলিশ মারছে, হাসপাতাল জ্বালাচ্ছে, তখন তারা একটি ভালো শিক্ষা পাবে যে এই জ্বালানো-পোড়ানো রাজনীতি নয়।’

আরও পড়ুন

বিএনপির নির্বাচন প্রতিহতের ডাক লোকজন আমলে নিচ্ছেন না মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টা করছে, এটি খুব দুঃখজনক। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, তাঁরা চান একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন।