স্কুলে যাওয়া হলো না তাওসিফার, সড়কে দুর্ঘটনায় গেল প্রাণ

অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেওয়ার পর বাসটি সড়কের এক পাশে কাত হয়ে যায়। সুনামগঞ্জ-দিরাই সড়কের সুনামগঞ্জের পাথারিয়া এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

অটোরিকশায় করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে যাচ্ছিল তাওসিফা চৌধুরী। কিন্তু সে আর স্কুলে পৌঁছাতে পারেনি। যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে তাওসিফাকে বহনকারী অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে মারা যায় চালক ও তাওসিফা। আহত হয়েছেন চারজন। সুনামগঞ্জ-দিরাই সড়কের সুনামগঞ্জের পাথারিয়া এলাকায় আজ সকাল আটটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তাওসিফা চৌধুরী (১২) স্থানীয় সুরমা উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সে দিরাই উপজেলার শরিফপুর গ্রামের কাতারপ্রবাসী সবুজ চৌধুরীর মেয়ে। আর সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক শান্তিগঞ্জ উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন (২০)। আহত চারজনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

থানার পুলিশ জানায়, সাকিন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে গতকাল বুধবার রাতে যাত্রী নিয়ে দিরাইয়ের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। আর অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে দিরাই থেকে সুনামগঞ্জ শহরে যাচ্ছিল। পথে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় পাথারিয়া বাজারের কাছে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে দুজন মারা যান।

তাওসিফার চাচা সালেহীন চৌধুরী বলেন, বাড়ি থেকে তাওসিফার স্কুলের দূরত্ব দেড় কিলোমিটার। সুনামগঞ্জ-দিরাই সড়ক ধরেই স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। কোনো দিন হেঁটে, আবার কখনো অটোরিকশায় স্কুলে যাওয়া-আসা করত তাওসিফা।

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদ চৌধুরী বলেন, লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পলাতক।