ভুল করে এক ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে চলে গেল সোয়া তিন কোটি টাকা

গ্রেপ্তার আবু তাহের। ব্যাংক হিসাবে ভুল করে আসা টাকা থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ উত্তোলন করেছেন তিনি। আজ গাইবান্ধা পিবিআই কার্যালয়ে
প্রথম আলো

একটি বেসরকারি ব্যাংকের ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা ভুলবশত আবু তাহের নামের একজনের হিসাবে জমা করেছিল সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখা। সেই হিসাব থেকে আবু তাহের ৩ কোটি ১০ লাখ উত্তোলন করেছেন। ওই টাকা তিনি একাধিক ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন। এ ঘটনায় মামলা হলে অভিযুক্ত আবু তাহেরকে গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার করেছে গাইবান্ধা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে নগদ ৩০ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে গাইবান্ধা পিবিআই এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায়। এতে বক্তব্য দেন পিবিআইয়ের গাইবান্ধার পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৬ জুলাই ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক গাইবান্ধা শাখা থেকে সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা প্রধান শাখায় ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার ভাউচারমূলে চেক জমা দেওয়া হয়। ওই টাকা ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের একটি হিসাবে স্থানান্তর হওয়ার কথা। কিন্তু সেই টাকা ভুল করে জমা হয় ঢাকার আবু তাহেরের মালিকানাধীন আমির ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি হিসাব নম্বরে। গত ১৭ জুলাই থেকে আবু তাহের ওই টাকা উত্তোলন করতে থাকেন এবং একাধিক ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন। এভাবে তিনি মোট ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা স্থানান্তর করেন।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেড গাইবান্ধা শাখার ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম এ মামলা করেন।

দীর্ঘদিন প্রধান কার্যালয়ের হিসাবে টাকা জমা না হওয়ায় ৪ আগস্ট সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখায় তাগাদা দেয় ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক গাইবান্ধা শাখা কর্তৃপক্ষ। পরে বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় ১০ আগস্ট গাইবান্ধা সদর থানায় টাকা উত্তোলনকারী আবু তাহেরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড গাইবান্ধা শাখার ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম এ মামলা করেন। পরে ঘটনাটি পিবিআইকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পিবিআইয়ের গাইবান্ধার পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ জানান, আবু তাহের একজন ব্যবসায়ী। সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখা থেকে তাঁর মালিকানাধীন আমির ইন্টারন্যাশনালের হিসাব নম্বরে টাকা জমা হয়। পিবিআই গাইবান্ধা ও ঢাকার একটি টিম আবু তাহেরকে নোয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করে।

সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখার ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ভুলবশত টাকাটা ওই ব্যক্তির হিসাব নম্বরে চলে যায়। বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা অবশিষ্ট টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছে।