জয়পুরহাটে ভ্যান ছিনতাই করতে চালককে হত্যা, ১৯ বছর পর রায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ভ্যান ছিনতাই করতে পরিকল্পিতভাবে চালক আবু সালামকে (২০) ডেকে এনে হত্যার পর লাশ জয়পুরহাটের কালাই পৌর শহরের আওড়া গ্রামের কবরে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। শিয়াল লাশটি টেনে বের করলে হত্যার বিষয়টি জানাজানি হয়। সেই ঘটনার ১৯ বছর পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে রায়ে আদালত তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।

জয়পুরহাট আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। আদালতের সহকারী কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন হারুন অর রশিদ হারুন, মোস্তাক আহাম্মেদ মোস্তাক ও হাফিজার রহমান। তাঁরা তিনজনই জয়পুরহাটের কালাই পৌর শহরের আওড়া মহল্লার বাসিন্দা। তিন আসামির মধ্যে হারুন অর রশিদ পলাতক।

নিহত আবু সালামের বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার দুর্গাদহে।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি আবু সালামের লাশ একটি কবরে কিছুটা বের হওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। কালাই থানার তৎকালীন পরিদর্শক মির্জা মো. শাহজাহান আলী লাশটি উত্তোলনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করেন। ওই দিনই বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশটি তুলে থানায় আনা হয়। লাশের পরনে থাকা পোশাক দেখে দোগাছির হানুফা বিবি লাশটি তাঁর ছেলে ভ্যানচালক আবু সালামের বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন।