মুন্সিগঞ্জে মন্দির থেকে মূর্তি ও দানবাক্সের টাকা চুরির অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জ শহরের পাঁচঘড়িয়াকান্দি এলাকার সিদ্ধেশ্বরী লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর মন্দির থেকে কয়েকটি মূর্তি এবং মন্দিরের দানবাক্স থেকে টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মন্দিরের তালা ভেঙে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো মন্দিরের পুণ্যার্থীরা আজ শুক্রবার সকালে পূজা দিতে আসেন। মন্দিরের মূল ফটকে প্রবেশ করতেই তাঁরা দেখতে পান কলাপসিবল গেটের তালা ভাঙা। মন্দিরের মূর্তিসহ দামি অনেক জিনিস নেই। পরে বিষয়টি মন্দিরের কমিটি ও পুলিশকে জানানো হয়।
মন্দিরের কমিটির সভাপতি মহাদেব হালদার বলেন, ‘সকালে ঘুমিয়েছিলাম। ছয়টার দিকে কয়েকজন জানান মন্দিরে চুরি হয়েছে। মন্দিরে এসে দেখি ছয়টি মূর্তি, রুপার দোলনা, দানবাক্সের সব টাকাপয়সা উধাও হয়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মন্দিরে কেউ থাকে না, সারা রাত বৃষ্টি হচ্ছিল, সে সুযোগে চোরেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। শত বছর ধরে এ এলাকার হিন্দু-মুসলিমদের সহযোগিতায় মন্দিরটি চলছে। কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি।’
এদিকে মন্দিরে চুরির খবর পেয়ে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাজমুল হুদা। জুমার নামাজের পর পরিদর্শনে যান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস, মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফরসহ জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা।
জেলা পূঁজা উদ্যাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোকন মজুমদার বলেন, ‘চোর মন্দির থেকে অষ্ট ধাতুর রাধাকৃষ্ণ, ব্রোঞ্জের গণেশ, গোপাল, রামসীতা ও শিবের মূর্তি চুরি করে নিয়ে গেছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, আমরা তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, ‘আমাদের জানানো হয়েছিল মূল মন্দিরের পাশের নির্মাণাধীন মন্দিরের ৯২ কেজি লোহা, মন্দিরের আসবাব, মূর্তি ও দানবাক্সে থাকা প্রায় ৫০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। আমরা সকাল থেকে এ বিষয়ে তদন্ত করছি। রড ও টাকা চুরির বিষয়টি মিথ্যা ছিল। অন্য বিষয়গুলো নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। প্রকৃত ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’