যানজটে নাকাল শহরবাসী

সড়কের দুই পাশে অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে সড়কের মাঝখান দিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা।

জামালপুর শহরের ভোকেশনাল এলাকায় জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবৈধভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। গত বুধবার সকালে শহরের ভোকেশনাল এলাকায়
প্রথম আলো

জামালপুর শহরের ভোকেশনাল এলাকায় জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবৈধভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে যানজটে নাকাল হচ্ছেন পথচারী ও যাতায়াতকারীরা। অবৈধ এই স্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি বাড়ালেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন।

গত বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ব্যস্ততম ভোকেশনাল এলাকায় পূর্ব দিক থেকে ঢোকার প্রবেশপথ এটি। তিনটি সড়কের মাথা এসে ভোকেশনাল এলাকায় মিশেছে। তাই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এই মোড়ে সড়কটির দুই পাশে সারি সারি অটোরিকশা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। পথচারীদের চলাচলের জায়গাতেও অটোরিকাশা রাখা রয়েছে। সড়কের মাঝখানে অল্প জায়গা দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। পথচারীরা কষ্ট করে মোড়টি পারাপার হচ্ছেন। সড়কের দুই পাশে অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকায় অনেকে ঝুঁকি নিয়ে সড়কের মাঝখান দিয়ে চলাচল করছেন। বড় কোনো গাড়ি এলেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে দেখা যায়।

মোড়ের দক্ষিণ পাশে জামালপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শুরু ও ছুটির সময় শিক্ষার্থীরা ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। যানজটে তাঁদের প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যানজটে আটকে থাকতে হয়। কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, পুরো সড়কটি দখল করে স্ট্যান্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে। মোড়ের চারপাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় অটোরিকশা। পায়ে হেঁটেও যাওয়ার উপায় থাকে না। ফুটপাতসহ সব জায়গায় অটোরিকশা রাখা হয়। সড়কের মাঝখানে একটু খালি থাকে। সেখান দিয়ে যানবাহন ও মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। ফলে তীব্র যানজট লেগেই থাকে সব সময়। দ্রুত স্ট্যান্ডটি অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি করেন তাঁরা।

আলী আজগর নামের এক পথচারী প্রথম আলোকে বলেন, যত্রতত্র অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকায় মহাসড়কে যানজট লেগেই থাকে। এতে সড়ক পার হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আশপাশে একটি সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বেসরকারি বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। অনেক শিক্ষার্থীকে এ সড়ক নিয়মিত পার হতে হয়। এ ছাড়া শহরে ঢোকার প্রধান সড়কও এটি। ফলে মোড়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অবৈধ স্ট্যান্ডটির কারণে সাধারণ মানুষ ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন।

মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, স্ট্যান্ডটি শহরের একদম মাঝখানে বশাকপাড়া এলাকায় ছিল। ফলে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতো। ফলে স্ট্যান্ডটি ভোকেশনাল এলাকায় স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু সেখানেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি নজরে এসেছে। ফলে স্ট্যান্ডটি শহরের পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় স্থানান্তরের চিন্তা চলছে। দ্রুত সেখানে স্থানান্তর করা হবে।