সোনারগাঁয়ে ঘরে আগুন লেগে নারী, শিশুসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ

আগুনে পুড়ে গেছে বিছানা। আজ শনিবার বিকেলে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরেছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঘরে আগুন লেগে নারী, শিশুসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। আজ শনিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে কাঁচপুর ইউনিয়নের পাটাত্তা এলাকার একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ওই বাড়ির ভাড়াটে পোশাককর্মী মো. আলাউদ্দিন (৩৫), তাঁর দুই মেয়ে শিফা আক্তার (১৪), সিমলা আক্তার (৪) এবং আলাউদ্দিনের মা জরিনা বেগম (৬৫)। তাঁদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। আলাউদ্দিনের শরীরের ৪০ শতাংশ, সিমলার ৩০ শতাংশ, জরিনা বেগমের ২০ শতাংশ ও শিফার ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান খান প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ছয়তলা ভবনের নিচতলার একটি বাসায় দগ্ধ চারজন ভাড়া থাকেন। ভোরে চার্জে লাগানো অবস্থায় মুঠোফোনের চার্জার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তবে চার্জার বিস্ফোরণের আগুন থেকে কীভাবে চারজন দগ্ধ হলেন, তা আমরা বুঝতে পারছি না। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস বিস্তারিত বলতে পারবে।’

কাঁচপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক মেরাজ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওই ঘরের একটি জানালার কাচ ভেঙে গেছে। ধারণা করছি, ঘরটি গ্যাসভর্তি ছিল। কোনোভাবে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার পর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং বিস্ফোরণে জানালার কাচ ভেঙে যায়।’

আজ দুপুরে ওই বাড়ি গিয়ে আগুন লাগা কক্ষটি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এ সময় আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার জানান, আজ ভোরে আলাউদ্দিন ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় ঘরে শব্দ হয়। শব্দ শুনে ঘরে প্রবেশ করে বিছানার তোশকে আগুন দেখতে পান তিনি। আগুন নেভাতে গিয়ে তিনি ঝলসে যান। এ সময় ঘরে থাকা তাঁর মা ও দুই মেয়েও আগুনে দগ্ধ হন। বাইরে থেকে বাড়ির ফটক তালাবদ্ধ থাকায় তাঁরা বাড়ি থেকে দ্রুত বের হতে পারেননি। পরে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সালমার ধারণা, গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস বের হয়ে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছিল। এর মধ্যে মুঠোফোনের চার্জার বিস্ফোরণ হলে ঘরে থাকা লোকজন আগুনে ঝলসে যান এবং তোশকে আগুন লাগে। সেই আগুন নেভাতে গিয়ে তাঁর ভাই দগ্ধ হন।