নৌ তদন্তকেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় বাড়বে নৌপথের নিরাপত্তা: আইজিপি

চট্টগ্রামে নৌ তদন্তকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশের আইজিপি। আজ রোববার কর্ণফুলী উপজেলায়ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, চট্টগ্রামে নৌ তদন্তকেন্দ্র চালু হওয়ায় নৌপথের নিরাপত্তা বাড়বে। এতে পুলিশের পক্ষে নৌপথে দায়িত্ব পালন আরও সহজ হবে। বন্দরের কার্যক্রমেও আসবে গতিশীলতা।

আজ রোববার বেলা ১১টার সময় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের ডাঙ্গারচর নৌ তদন্তকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইজিপি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী প্রমুখ।

শাহ আমানত সেতু থেকে কর্ণফুলী নদীর মোহনা পর্যন্ত এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ দমনে নৌ তদন্তকেন্দ্র টহলসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। নৌ তদন্তকেন্দ্রের জন্য ভূমি বরাদ্দ দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

রাজস্ব বাজেটের আওতায় ডাঙ্গারচর নৌ তদন্তকেন্দ্রের জন্য দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কেন্দ্রে দুজন এসআই (নিরস্ত্র), দুজন এএসআই (নিরস্ত্র), দুজন এএসআই (সশস্ত্র), ৩০ জন কনস্টেবল, একজন বাবুর্চি ও একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ মোট ৩৮ জন নিযুক্ত থাকবেন।

অনুষ্ঠানে আইজিপি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। পেশাদারত্বের মাধ্যমে দেশের পুলিশ বাহিনী একটা ঈর্ষণীয় পর্যায়ে অবস্থান করছে।

এ সময় ঢাকার বংশালে পুলিশের হেফাজতে একজন ‘বডি বিল্ডারের’ মৃত্যুর ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘যেকোনো মৃত্যুই অনাকাঙ্ক্ষিত। আমাদের হেফাজতে যদি মৃত্যু হয়, তাহলে আমরা প্রটোকল অনুসরণ করি। কাউকে ছাড় দেওয়ার নীতি অবলম্বন করি না। যে দায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত হয়ে থাকে। এসবের প্রতিবেদনে যে তথ্য বেরিয়ে আসে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

আইজিপি আরও বলেন, দুই লাখ সদস্যের সুশৃঙ্খল এ বাহিনী সরকারের বিধিবিধান মেনে যথাযথভাবে তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন। বাসাবাড়িতে সোনা চুরির ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, আমাদের লোকও যদি জড়িত হন, তাঁকেও ছাড় দিচ্ছি না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মালামালও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এমনকি ৭০ শতাংশ সোনা উদ্ধার করেছি। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় চলমান সহিংসতা সম্পর্কে আইজিপি বলেন, ‘এ ব্যাপারে বিজিবি কাজ করছে। আইনানুগভাবে বিজিবি আমাদের কাছে যে সহযোগিতা পাবে, আমরা তা দেব।’