জয়দেবপুর–এলেঙ্গা সড়ক
ধীরগতির যানবাহনের লেন দখলে থাকে বাস-ট্রাকের
জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার ৪ লেন মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।
গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত ধীরগতির যানবাহন নিরাপদে চলাচলের জন্য মহাসড়কের দুই পাশে নির্মাণ করা হয় পৃথক লেন (সার্ভিস লেন)। টাঙ্গাইল শহর বাইপাস থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়কের পাশের ধীরগতির দুই লেন দখল করে থাকে বাস–ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ছোট যানবাহন।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাসেক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার ৪ লেন মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়। এই মহাসড়কের দুই পাশে ধীরগতির যানবাহন (অটোরিকশা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যান) চলাচলের জন্য পৃথক দুটি লেন নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকেই টাঙ্গাইল শহর বাইপাস থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ধীরগতির যান চলার লেন দখল করে রাখছে বাস–ট্রাকসহ দ্রুতগতির যানবাহন।
গত বুধবার বিকেলে শহর বাইপাসের রাবনা মোড় থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, রাবনা ফ্লাইওভারের পরে ঢাকামুখী ধীরগতির লেন দখল করে রেখেছে কয়েকটি ট্রাক ও বাস। মহাসড়কের বাসে গাড়ি মেরামতে কয়েকটি গ্যারেজ রয়েছে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ধীরগতির লেন দখল করে রেখে সেখানে সব সময় গাড়ি মেরামত করা হয়। ফলে ওই লেনের অর্ধেকের বেশি জায়গা সব সময় দখলে থাকে। সেখান থেকে একটু এগিয়ে বিক্রমহাটি এলাকায় উত্তরবঙ্গগামী লেনে দূরপাল্লার গাড়ি রাখতে দেখা যায়। রাতে চলাচল করা গাড়িগুলো দিনে সব সময় ওই জায়গায় রাখা হয়। রসুলপুরে দুটি ফিলিং স্টেশনের সামনে ট্রাকের লাইন দেখা যায়। পৌলি এলাকায় ঢাকাগামী ধীরগতির লেনের পাশে রয়েছে বালু বিক্রির কেন্দ্র। সেখানে ট্রাকের সারি সব সময় থাকে। আর ওই বালু বিক্রির স্থানে যাওয়ার জন্য ট্রাক নিয়মিত চলাচল করে সার্ভিস লেন দিয়ে। এলেঙ্গাতে সার্ভিস লেনে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা দখলে থাকতে দেখা যায় ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনের। মহাসড়কের পাশে কিছু গাড়ি মেরামতের গ্যারেজ ও হোটেল–রেস্তোরাঁ রয়েছে। লেনে গাড়ি রেখে মেরামত করা হয়। এ ছাড়া সেখানে ট্রাক রেখে চালক ও সহকারীরা হোটেলে খেতে যান। ফলে দিনরাত সব সময় এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার সার্ভিস লেনে জট লেগে থাকে।
টাঙ্গাইল–কালিহাতী সড়কে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক গোলাম হোসেন জানান, ধীরগতির যানবাহনের জন্য মহাসড়কের দুই পাশে পৃথক লেন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এর পুরোপুরি সুবিধা তারা ভোগ করতে পারছেন না। ইজিবাইকচালক সোহরাব মিয়া জানান, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বাস–ট্রাক পার্ক করে রাখা হয়। হঠাৎ করে আবার সেসব যানবাহন ধীরগতির লেনে ঢুকে পড়ে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন টাঙ্গাইল শাখার সাধারণ সম্পাদক ঝান্ডা চাকলাদার জানান, ধীরগতির যানবাহন নিরাপদে চলাচলের জন্য মহাসড়কের দুই পাশে পৃথক লেন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু তদারকির অভাবে সেখানে অবাধে সেখানে বড় যানবাহন পার্ক করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশের এলেঙ্গা ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক জাহিদ হাসান জানান, সার্ভিস লেনে বাস–ট্রাক অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।