পাবনায় ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের সময় দুই ছাত্র হত্যা মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৩৬ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সাহা এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ ও পাবনা–৫ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। মামলায় বিভিন্ন সময় ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’
এ বিষয়ে জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম সরওয়ার খান বলেন, রাতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। মামলার এজাহারে ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। তদন্তে আরও ৩৪ জনের নাম এসেছে। সব মিলিয়ে মোট ১৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুরে জেলা শহরের ট্রাফিক মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছিলেন। তখন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদসহ দলটির নেতা–কর্মীরা সেখানে হামলা ও গুলি চালান। এতে জেলা সদরের চর বলরামপুর গ্রামের দুলাল উদ্দিনের ছেলে ও পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম (১৮) ও হাজিরহাট বেতেপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও শহরের সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মাহবুব হোসেন (১৬) নিহত হন। এ ঘটনায় ওই বছরের ১০ আগস্ট নিহত জাহিদুলের বাবা বাদী হয়ে ১০৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।