ফরিদপুরে তরুণ হত্যার দায়ে রাজমিস্ত্রির মৃত্যুদণ্ড

ফরিদপুর জেলার মানচিত্র

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় এক তরুণকে হত্যার দায়ে জসীম মোল্লা (২৪) নামের এক রাজমিস্ত্রিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি জসীম মোল্লাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত জসীম মোল্লা রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বামুন্দি গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে নিহত রাজু কুমার সাহা (২৫) মধুখালী উপজেলার মাঝকান্দি পূর্বপাড়া (দাসপাড়া) গ্রামের অরুণা রানী সাহা ও মৃত সুজিৎ কুমার সাহার ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রাজু কুমার সাহা পরিবারের সঙ্গে মাঝকান্দি দাসপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। এ সময় ওই এলাকায় তাঁরা একটি দোতলা বাড়ি বানানোর কাজ শুরু করেন। এ কাজের দেখাশোনা করতেন রাজু সাহা। জসীম মোল্লাসহ কয়েকজন রাজমিস্ত্রি এই বাড়ির নির্মাণকাজ করতেন। ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে জসীমের সঙ্গে বের হন রাজু। ওই রাতের কোনো এক সময় রাজুকে হত্যা করে মিস্ত্রিদের জন্য বানানো টয়লেটের ঢাকনা তুলে ভেতরে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় রাজুর মা অরুণা রানী সাহা পরদিন বাদী হয়ে মধুখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, কয়েক দিন আগে মিস্ত্রিদের সঙ্গে রাজুর মতানৈক্য হয়। প্রকৌশলী বাড়ির যে নকশা দিয়েছেন, মিস্ত্রিরা সে অনুযায়ী কাজ করছিলেন না। এসব নিয়ে রাজুর সঙ্গে রাজমিস্ত্রি জসীমসহ অন্যদের ঝামেলা হয়। এ ঝামেলার কারণেই রাজমিস্ত্রিরা রাজুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।

২০২১ সালের ২৫ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ হোসেন জসীম মোল্লাকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি জসীমের কাছ থেকে রাজুর ব্যবহৃত সোনার চেইন, আংটি, ব্রেসলেট ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা ওই আলামত বাদীপক্ষকে দেওয়ার আদেশ দেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নওয়াব আলী মৃধা বলেন, এ রায়ে সমাজে অপরাধ কমে আসবে। আদেশের বিরুদ্ধে সাত দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ পাবেন আসামি।