‘আমরা যুদ্ধ চাই না, সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চাই’

আনসার সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের আনসার ভিডিপি একাডেমিতে
ছবি: প্রথম আলো

বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা মিয়ামনমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, ‘মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ চলছে। সেখানে অনেক গ্রুপ রয়েছে। তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে বিভিন্ন সীমানায় প্রায় এমন ঘটনা ঘটছে। আমরা যতটুকু জানি, আমাদের সীমান্তের কাছে আরাকান আর্মিসহ বেশ কয়েকটি গ্রুপ (মিয়ানমারের) সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।’

এখানে বাংলাদেশের কিছু করার নেই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তবে তাদের কোনো গ্রুপ যাতে বাংলাদেশের সীমানায় না আসতে পারে, সে জন্য বিজিবির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আমরা মনে করি, মিয়ানমার সেনাবাহিনী আমাদের সীমানায় আসবে না। আমরা যুদ্ধ চাই না, সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চাই।’

আজ মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাধারণ আনসার সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণ (পুরুষ) প্রথম ধাপের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

দুর্গাপূজায় যেখানে যা প্রয়োজন, তার সব রকম ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, দুর্গাপূজার অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আশা করছেন, কোথাও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে না। তারপরও বলা হয়েছে আনসার ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং পূজামণ্ডপগুলোকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনতে। তিনি নিজে যতগুলো মণ্ডপ ঘুরেছেন, সব কটিতে সিসিটিভি ক্যামেরা দেখেছেন।

এর আগে আনসার সদস্যদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সালাম গ্রহণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. আখতার হোসেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান। বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান, আনসার ও ভিডিপি একাডেমির কমান্ড্যান্ট অতিরিক্ত মহাপরিচালক সামছুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি। ৯৯৫ জনের মধ্যে ড্রিলে রফিকুল ইসলাম, ফায়ারিংয়ে নূরুল ইসলাম ও সব মিলিয়ে চৌকস প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে আকরাম হোসেন শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার অর্জন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমি আশা করছি, প্রশিক্ষণলব্দ জ্ঞান, মেধা, শ্রম ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আপনারা অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবেন। একটি মর্যাদাসীন ও সুদৃঢ় অবস্থানে এ বাহিনীকে দাঁড় করাতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবেন।’