ঈদের ছুটিতে যেতে পারেন বাঁশখালীর খানখানাবাদ সৈকতে
বেড়িবাঁধের ওপর দাঁড়ালে সমুদ্রের ঢেউয়ের মাথায় সাদা ফেনা দেখে মন নেচে উঠবে। সাগরের হাতছানি কে এড়াতে পারে, পর্যটকেরা পারেন না। বেড়িবাঁধ পার হয়ে নিচে নামলেই ঝাউগাছে ঘেরা নিরিবিলি সৈকত। কক্সবাজারের মতো সেই হইহল্লা নেই। নেই বিচ বাইকের আনাগোনা, ফটোগ্রাফারদের ব্যস্ততা। নির্জন সৈকত বলতে যা বোঝায়, বাঁশখালীর খানখানাবাদ সমুদ্রসৈকত অনেকটাই তেমন।
এই সৈকতের মায়ায় প্রতিদিন ছুটে আসেন কিছু না কিছু দর্শনার্থী। পুরোপুরি পর্যটনকেন্দ্র না হলেও বেড়িবাঁধের ওপর স্থাপন করা হয়েছে দোলনা। গড়ে উঠেছে চা, ফুচকার কয়েকটি দোকান। স্থানীয় লোকজন সাগরপাড়ে এসে আড্ডা দিতে পছন্দ করেন। কেবল আড্ডা নয়, একাকী বসে থাকলেও কত কী দেখার আছে। জেলে নৌকার আনাগোনা, ঢেউয়ের আছড়ে পড়া। আছে ঝাউবনের নিবিড় হাতছানি।
বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়নে অবস্থিত এই সমুদ্রসৈকতের এক কিলোমিটারজুড়ে সারি সারি ঝাউগাছ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০০৬ সালের দিকে চারা লাগিয়ে বন বিভাগ এই ঝাউবন তৈরি করে। গাছগুলো বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্যও বেড়ে যায়। এর পর থেকে স্থানীয় পর্যটনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্পট হয়ে উঠেছে এই সমুদ্রসৈকত।
খানখানাবাদ সৈকতের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আরিফ বলেন, এমনিতে প্রতিদিন আশপাশের এলাকা থেকে লোকজন বেড়াতে আসেন। তবে শুক্র ও শনিবার দূরদূরান্ত থেকেও অনেক দর্শনার্থী সমুদ্রসৈকতে ভিড় করেন। সৈকতের ফুচকা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, বিকেল গড়াতেই পর্যটক বাড়তে থাকে। ওই সময় ব্যবসাও ভালো হয়।
সাতকানিয়া উপজেলার ফুলতলা থেকে মোটরসাইকেলে করে স্ত্রী, শিশুকন্যাসহ বেড়াতে আসা আলা উদ্দিন বলেন, ‘আমার মেয়ে বেড়ানোর জন্য বায়না ধরেছিল। তাই আমাদের বাড়ি থেকে একেবারে কাছের এই সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে নিয়ে এসেছি।’
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, খানখানাবাদ সৈকতে সাগরের ঢেউয়ের পাশাপাশি সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়। তাই কম সময়ে এই পর্যটন স্পট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।