কক্সবাজারের উদ্দেশে প্রথম পরিদর্শন ট্রেন

আট বগি নিয়ে প্রথম পরিদর্শন ট্রেন চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে করেছে। আজ সকাল নয়টায় চট্টগ্রামের বটতলী রেলওয়ে স্টেশনে
জুয়েল শীল

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো ট্রেন যাচ্ছে আজ রোববার। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের আগে নতুন নির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ পরিদর্শনের জন্য এই ট্রেন চালানো হচ্ছে।

এর মাধ্যমে নতুন নির্মিত এই রেললাইন যাচাই করে দেখবেন পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

আজ সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে এই ট্রেন কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটিতে সরকারি রেল পরিদর্শক রুহুল কাদের আজাদ, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলামসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রকল্পসংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা আছেন। ট্রেনটিতে আটটি বগি রয়েছে।

চট্টগ্রাম–দোহাজারী–কক্সবাজার রেলপথে চলছে পরীক্ষামূলক ট্রেন। আজ সকাল ১০টায়
জুয়েল শীল

সাধারণত দেশের কোথাও নতুন রেললাইন নির্মিত হলে রেলওয়ের পরিদর্শন অধিদপ্তর তা পরীক্ষা করে দেখে। অধিদপ্তর ছাড়পত্র দিলে নতুন রেলপথটি ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী বলে বিবেচনা করা হয়। এরপর ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক চলাচল) ও আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

ট্রেন ছাড়ার আগে চট্টগ্রাম স্টেশন প্ল্যাটফর্মে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সাধারণত নিয়ম হলো নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হলে তা পরিদর্শন করে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখেন সরকারি রেল পরিদর্শক। তিনি যাচাই-বাছাই করে দেখবেন, কাজ ঠিকমতো হয়েছে কি না, রেলপথ নিরাপদ কি না। তিনি যদি সার্টিফাই না করেন, তাহলে ট্রেন পরিচালনা করা যাবে না। তিনি যাওয়ার জন্য নিরাপদ বললে তখন ট্রেন চালানো যাবে। এটা রেলওয়ের রুটিন ওয়ার্ক। এটি কোনো ট্রায়াল রান নয়। এটি পরিদর্শন ট্রেন।

২০১৮ সালে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগর থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন আছে। ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এই রেললাইনের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন উপলক্ষে কক্সবাজারে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের প্রকল্প পরিচালক মো. সবুক্তগীন প্রথম আলোকে বলেন, ৭ নভেম্বর রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের উপস্থিতিতে যে ট্রায়াল রান হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে না। আজ রেলওয়ের পরিদর্শন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ট্রেন চালিয়ে দেখা হবে কোথাও কোনো সমস্যা বা ত্রুটি আছে কি না।

দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার লাইনের মধ্যে মোট প্রকল্পের কাজ ৯২ শতাংশ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন প্রকল্পটির কাজ ২০১৮ সালে শুরু হয়। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও তার আগে আগামী ডিসেম্বরের দিকে পুরোপুরি কাজ শেষ হবে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ট্রেন চালানোর জন্য তার আগেই বুঝিয়ে দেওয়া যাবে।