কক্সবাজারে আশ্রয়শিবির থেকে পালানোর সময় আরও ৫৮ রোহিঙ্গা আটক

আশ্রয়শিবির থেকে পালানোর সময় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক রোহিঙ্গারা। বুধবার বিকেলে
ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবির থেকে পালানোর সময় আরও ৫৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত কক্সবাজারের লিংক রোড এলাকায় উখিয়া থেকে আসা কক্সবাজার ও চট্টগ্রামগামী বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। গত পাঁচ দিনে ২৩২ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে উখিয়া থানা-পুলিশ।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আহম্মেদ বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আটক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর আশ্রয়শিবিরের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে (আরআরআরসি) হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, আশ্রয়শিবিরের কাঁটাতারের বেড়া কেটে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রায় প্রতিদিন তারা ধরা পড়ছে। বেশির ভাগ রোহিঙ্গা পুরুষ কাজের সন্ধানে আশ্রয়শিবির ত্যাগ করছে। অনেকে মাদক কারবারি, বনাঞ্চলের গাছপালা নিধন ও সমুদ্রসৈকতে চিংড়ির পোনা আহরণের কাজে জড়িয়ে পড়ছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, কাজের সন্ধানে রোহিঙ্গারা আশ্রয়শিবির থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। আশ্রয়শিবিরের ভেতরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০টির বেশি তল্লাশিচৌকি থাকলেও পাহাড়-জঙ্গল দিয়ে রোহিঙ্গারা বেরিয়ে পড়ছে। গত পাঁচ দিনে উখিয়া থানা-পুলিশ ২৩২ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে। তাদের সবাইকে কুতুপালং রেজিস্টার্ড আশ্রয়শিবিরের ইনচার্জের (সিআইসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, যারা বিনা অনুমতিতে আশ্রয়শিবির থেকে বাইরে যাচ্ছে, তাদের বিভিন্নভাবে বোঝানো হচ্ছে। কাউন্সেলিং এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে একই ধরনের অপরাধে ধরা পড়লে তাঁদের জেল-জরিমানার ভয় দেখানো হচ্ছে। আটক রোহিঙ্গাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখার পর বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।