কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির নেতা রেজাউলের আওয়ামী লীগে যোগদান

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মহিববুর রহমানের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিমছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের ব্যবসায়ী ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম ওরফে রেজা মীরা আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় তিনি পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মহিববুর রহমানের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

শহরের এতিমখানা এলাকায় মহিববুর রহমানের বাসভবনের নিচতলায় অবস্থিত নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে এই যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব তালুকদার, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আল সাইফুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফিরোজ সিকদার, চাকামইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীর, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইয়ামিন আহম্মেদ প্রমুখ।

নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপি নেতার আওয়ামী লীগে যোগদানকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মহিববুর রহমান বলেছেন, ‘বিএনপির রাজনীতির কোনো ভবিষ্যৎ নেই, এটা এখন অনেকেই বুঝতে পারছেন। রেজা মীরা হলেন এর অন্যতম উদাহরণ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাঁর যোগদানকে আমরা স্বাগত জানাই। এতে আমরা নির্বাচনী রাজনীতিতে লাভবান হব। তা ছাড়া আমি মনে করি, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে।’

দল ত্যাগ করা প্রসঙ্গে রেজাউল করিম বলেন, ‘আসলে আমি তো আওয়ামী পরিবারেরই লোক। কারণ আমার বাবা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। আমার পরিবারের কেউই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেই। শুধু আমি একাই যুক্ত ছিলাম। এ কারণে পথেঘাটে আমাকে বিভিন্ন সময় প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। অনেকেই বলতেন, আওয়ামী পরিবারের লোক হয়ে আমি কেন বিএনপি করি? এতে আমি বিব্রত হতাম। এ কারণে আমি বিএনপির রাজনীতি ত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি।’

এ নিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির নতুন কমিটি হয়েছে এক বছরের বেশি সময়। রেজাউল করিমকে কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হলেও তিনি আন্দোলন-সংগ্রামে কখনোই ভূমিকা রাখেননি। তা ছাড়া বিএনপির রাজনীতিতেও তিনি ওইভাবে সক্রিয় ছিলেন না। এসব কারণে দলের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরামর্শ করে তাঁকে দল থেকে আগেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কোনো সুবিধা পাওয়ার লোভে হয়তো তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। এতে বিএনপির মতো বড় দলের একটুও ক্ষতি হবে না।