পদ্মায় জালে উঠে এল ঘড়িয়াল, পরে অবমুক্ত

রাজবাড়ী সদর উপজেলায় পদ্মা নদীতে জেলের জালে উঠে আসা ঘড়িয়াল। শনিবার বিকেলে
ছবি: প্রথম আলো

রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চরধুঞ্চি এলাকায় পদ্মা নদীতে এক জেলের জালে একটি ঘড়িয়াল ধরা পড়েছে। শনিবার বিকেলে ধরা পড়া ঘড়িয়ালটি পরে বন বিভাগের কর্মকর্তারা পদ্মা নদীতে অবমুক্ত করেন।

স্থানীয় লোকজন ও বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রহম মৃধা নামের এক ব্যক্তি চরধুঞ্চি এলাকায় জাল ফেলেন। বিকেলে তিনি জাল তুলতে গেলে কুমির আকৃতির প্রাণীটি উঠে আসে। প্রথমে তিনি কুমির ভেবে ভয় পান। পরে নিশ্চিত হন এটি ঘড়িয়াল। এরপর তিনি প্রাণীটিকে গোদার বাজার এলাকায় নিয়ে আসেন।

এ সময় ঘড়িয়ালটি দেখতে ওই বাজারে অনেকেই ভিড় করেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। এরপর সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে প্রাণীটিকে পদ্মা নদীতে অবমুক্ত করা হয়।

লক্ষ্মীকোল গ্রামের বাসিন্দা মহসিন মৃধা বলেন, শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় বিকেলে গোদার বাজার এলাকায় অনেক মানুষের সমাগম ছিল। ঘড়িয়াল ধরা পড়ার খবর পেয়ে অনেকেই সেটিকে দেখতে আসেন। কেউ কেউ ঘড়িয়ালের সঙ্গে সেলফি তোলেন। পরে প্রাণীটিকে নদীতে অবমুক্ত করা হয়।

একসময় বাংলাদেশের নদ-নদীতে প্রচুর ঘড়িয়াল দেখা যেত বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ী বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুজ্জামান। তিনি বলেন, আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাওয়াসহ নানা কারণে ঘড়িয়াল এখন বিলুপ্তির পথে। খবর পেয়ে ঘড়িয়ালটি উদ্ধার করে পদ্মা নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।

অনেকে প্রাণীটিকে মেছো কুমির বলেন জানিয়ে মো. হাবিবুজ্জামান বলেন, ‘ঘড়িয়ালের প্রধান খাদ্য মাছ। নদীর বালুচরে রোদ পোহাতে পছন্দ করে প্রাণীটি। এগুলো মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। বরং বিভিন্ন রাক্ষুসে মাছ খেয়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে বিলুপ্তপ্রায় এসব প্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’