চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে গরু পাচার, গ্রেপ্তার ৪

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার গরু চোরচক্রের চার সদস্য। বুধবার দুপুরে গাইবান্ধা সদর থানা চত্বরে
ছবি: প্রথম আলো

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু চুরি করে অন্য জেলায় নিয়ে বিক্রি করে একটি চক্র। চুরি করা চারটি গরু পাচারের জন্য প্রথমে চেতনানাশক ইনজেকশন দেওয়া হয়। গরুগুলো অচেতন হওয়ার পর ট্রাকে তুলে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। যাতে সবাই ট্রাকটি দেখে মালামাল মনে করে। এভাবেই গরু চারটি পাচার করছিল চারজনের একটি চোরচক্র। খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ট্রাকটি জব্দের পাশাপাশি ওই চারজনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার খামার পীরগাছা গ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার ও ট্রাকসহ গরু জব্দ করা হয়। আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন। দুপুরে গাইবান্ধা সদর থানা চত্বরে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বিকেলে খামার পীরগাছা গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ওই গ্রামের আবদুল মান্নানের বাড়ির সামনে থেকে চারটি গরুসহ নম্বরবিহীন একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। এ সময় আন্তজেলা গরু চোর চক্রের সক্রিয় চারজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহীর কাশিডাঙ্গা উপজেলার রাইপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে বিজয় ইসলাম ওরফে পিচ্চি বাবু (১৯), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম (২৩), গাইবান্ধা সদর উপজেলার খামার পীরগাছা গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল শেখ (৪০) ও একই গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে আবদুল মজিদ (২৭)।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তাঁরা গরু চুরির কথা স্বীকার করেছেন। তাঁরা বিভিন্ন জেলা থেকে গরু চুরি করেন। তারপর হাত বদল করে অন্য জেলার হাটে বা অন্য চোর চক্রের কাছে বিক্রি করা হয়। এ ঘটনায় গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা হয়েছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।

পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে চিকিৎসক নিয়ে এসে গরুগুলোকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। জব্দ করা গরুগুলো সদর থানার পুলিশের হেফাজতে আছে। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে। গরুর মালিকদের খুঁজে বের করে গরুগুলো তাঁদের কাছে ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।