পটুয়াখালীর পুরান বাজারে আগুন, আহত ৬

পুরান বাজারের তেলের গুদাম থেকে আগুন দ্রুত চারপাশের দোকান ও বাড়িঘরে ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায়
ছবি: প্রথম আলো

পটুয়াখালী শহরের পুরান বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এতে ওই বাজারের দোকান ও আশপাশের বাড়িঘর পুড়ে গেছে।

এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, আনসার সদস্য, স্থানীয় লোকজনসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা হলেন—পটুয়াখালীর ফায়ার সার্ভিসের সদস্য মো. রাশেদ (৩৩), আমতলী ফায়ার সার্ভিসের সদস্য শাহাদত হোসেন (৫০), পুলিশ উপপরিদর্শক গোলাম মোস্তফা (৩৫), ২২ আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য সরোয়ার হোসেন (২৮) ও স্থানীয় বাসিন্দা মাশরাফি (২০), আবদুল্লাহ (১৬) ও অমিত তালুকদার (২০)। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রাশেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্য ব্যক্তিদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে হঠাৎ পুরান বাজার এলাকার অগ্রণী ব্যাংক–সংলগ্ন ব্যবসায়ী হারুন মুন্সির তেলের গুদামে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। মুহূর্তেই আগুন চারপাশের দোকান ও বাড়িঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পটুয়াখালীর ফায়ার সার্ভিস ও নৌ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ঘটনাস্থলের পাশেই শহরের মিঠাপুকুর থাকলেও সেখানে বর্তমানে পানি নেই। এতে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের অনেক বেগ পেতে হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের লোহারিয়া নদী থেকে পানি এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এদিকে ওই এলাকায় বিভিন্ন তেল ও গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান থাকায় আগুন ক্রমেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

ঘটনাস্থলের পাশেই শহরের মিঠাপুকুর থাকলেও সেখানে বর্তমানে পানি নেই। এতে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের অনেক বেগ পেতে হয়
ছবি: প্রথম আলো

এ অবস্থায় ফায়ার সার্ভিসের বরগুনার আমতলী, বরিশালের বাকেরগঞ্জ, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ, গলাচিপা ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ শুরু করে। এ সময় পুলিশ ও আনসার সদস্যরাও ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করেন।

পটুয়াখালী নৌ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. রেজোওয়ান বলেন, খবর পেয়ে তাঁদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। পরে বরগুনা, বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ উপজেলা থেকে মোট ছয়টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে ব্যবসায়ীদের দোকান ছাড়াও বেশ কিছু বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। তবে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।