আগামী বাংলাদেশ কীভাবে চলবে, তা জনগণ ঠিক করবে: জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার দ্বিতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি । শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে
ছবি: প্রথম আলো

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশে এমন একটা সরকার আছে, যারা দেশের জনগণকে নিয়ে মোটেও চিন্তিত নয়। এই সরকার প্রতিদিন জনগণকে বিপদের মুখে ফেলছে। তারা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারছে না।

শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণসংহতি আন্দোলনের দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। প্রবীণ কৃষকনেতা দেওয়ান আবদুর রশিদ জাতীয় পতাকা ও দলের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ২০১৮ সালের মতো কলঙ্কময় নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে আর হয়নি। এই নির্বাচন আগের সব অনিয়মকে ছাড়িয়ে গেছে। এসব করেও আওয়ামী লীগ টিকে আছে। টিকে আছে এই কারণেই যে জনগণ ঠিকঠাকমতো মাঠে নামেনি। তাই জনগণ মাঠে নামলে আওয়ামী লীগ সরকার পালানোর পথ পাবে না। রাজপথ দখলে নিতে হবে। আগামী বাংলাদেশ কীভাবে চলবে, তা জনগণ ঠিক করবে।

গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, দলের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সমন্বয়ক নিয়ামুর রশীদ, নির্বাহী সমন্বয়ক পপি রানী সরকার, ফতুল্লা থানার আহ্বায়ক জাহিদ সুজন, সহসম্পাদক শুভ দেব, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি জেলা আহ্বায়ক কাউসার হামিদ, সম্পাদক মামুন হোসেন, নারী সংহতি জেলার আহ্বায়ক নাজমা বেগম, প্রতিবেশ আন্দোলন জেলার আহ্বায়ক এস এম রাব্বি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলার সভাপতি ফারহানা মুনা, বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার্স সমিতির জেলার আহ্বায়ক শাহ আলম, গণসংহতি আন্দোলন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান, সম্পাদক রেদওয়ান সজীব, বন্দর থানার সংগঠক ইমদাদ হোসেন, সোনারগাঁও উপজেলার সংগঠক ইব্রাহীম খলিল, ফতুল্লা থানার সম্পাদক নুরুল আমিন মামুন, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর ইসলাম প্রমুখ।

দেওয়ান আবদুর রশিদ বলেন, দেশ এখন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যে পরিস্থিতি পাকিস্তান শাসনামলকেও হার মানায়। তাই দেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ প্রয়োজন। জনগণকে সেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

তাসলিমা আখতার বলেন, ‘সরকার প্রায়ই বলে জনগণই তাদের মূল শক্তি। মূল ভরসা। আমরা বলি, পুলিশ ছাড়া একবার রাজপথে নেমে দেখেন। দেখেন জনগণ কী করে। বাংলাদেশের আপামর জনগণ বহু আগেই আপনাদের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে।’