মহেশখালীতে নির্যাতনের পর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

লাশ
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের পর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্বামীর নাম লোকমান হাকিম। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের শুকরিয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতে ময়না পাখি নামের ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ময়নার স্বামী পলাতক।

ময়না পাখির বাবা মনু মিয়া ও স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে শুকরিয়া পাড়ার নুরুল কবিরের ছেলে লোকমান হাকিমের সঙ্গে ফকিরাকাটা গ্রামের ময়না পাখির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহের জেরে একাধিকবার ময়নার ওপর নির্যাতন করেন তাঁর স্বামী। এ নিয়ে এলাকায় সালিসও হয়। গতকাল রাতেও একইভাবে ময়নার ওপর নির্যাতন করা হয়। পরে তাঁদের চার বছরের শিশুর কান্নাকাটি শুনে আশপাশের লোকজন ঘরের ভেতরে যান। সেখানে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ময়নাকে দেখেন তাঁরা। দ্রুত উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মনু মিয়া দাবি করেন, তাঁর মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে লোকমান হাকিমের মা রাশেদা বেগম বলেন, ময়নাকে কেউ মারধর করেননি। সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাহফুজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, লাশের মাথা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নির্যাতনের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, লাশের সুরতহাল করার সময় মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি।