পদ্মায় ধরা পড়ল ২১ কেজির বাগাড়
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার বাহির চর দৌলতদিয়া এলাকার পদ্মা নদীতে জালে ধরা পড়েছে ২১ কেজি ওজনের বাগাড়। আজ মঙ্গলবার সকালে মাছটি স্থানীয় জেলে ছাত্তার শেখের জালে ধরা পড়ে। দৌলতদিয়া বাজারের মোহন মণ্ডলের আড়ত থেকে নিলামে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ ২৪ হাজার টাকায় বাগাড়টি কিনে নিয়ে পরে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
স্থানীয় কয়েক মৎস্যজীবী জানান, মঙ্গলবার সকালে দৌলতদিয়া মনির সরদার পাড়ার জেলে ছাত্তার শেখ ও তাঁর সহযোগীদের নিয়ে পদ্মায় জাল ফেলেন। ৮-৯ কিলোমিটার ভাটিতে যাওয়ার পর জালে টান লাগে। তখন বুঝতে পারেন, বড় কিছু আটকে পড়েছে। জাল গুটিয়ে নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বড় বাগাড়। এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর পদ্মা নদীতে প্রায় ৩৮ কেজি ওজনের একটি এবং ১৬ সেপ্টেম্বর ২৪ কেজি ওজনের আরেকটি বাগাড় ধরা পড়ে। এসব মাছ দৌলতদিয়া ঘাট বাজারে নিলামে বিক্রি হয়।
বাগাড় একটি বিপন্ন প্রজাতির মাছ। এ ধরনের মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হলেও রাজবাড়ী অঞ্চলের পদ্মা নদীতে মাঝেমধ্যে ধরা পড়ছে বিপন্ন প্রজাতির বাগাড়। দৌলতদিয়া ঘাটে প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করা হয়।
দৌলতদিয়া মাছবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও আড়তদার মোহন মণ্ডল বলেন, ছাত্তার শেখ আজ সকাল সাতটার দিকে বাগাড় নিয়ে আড়তে হাজির হন। সবার উপস্থিতিতে নিলামে তোলা হলে ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বাগাড়টি কিনে নেন। বাগাড় একটি বিপন্ন প্রজাতির মাছ। তবে বাগাড় ধরা বা বিক্রির ক্ষেত্রে তাঁদের কখনো নিরুৎসাহিত করা হয়নি।
মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ বলেন, সকালে ২১ কেজি ওজনের বাগাড়টি ১ হাজার ১৫০ টাকা কেজি দরে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নেন। পরে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার ব্যবসায়ী নাসিম মিয়ার কাছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা লাভে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা শাহ মো. শাহরিয়ার জামান বলেন, বড় বাগাড় ধরা বা খাওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো সমস্যা নেই। তবে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ছোট বাগাড় ধরা যাবে না বলেই তিনি জানেন। বাগাড় বিপন্ন মাছ হিসেবে চিহ্নিত করে তা ধরতে কোনো নিষেধাজ্ঞা এখন পর্যন্ত তাঁদের কাছে আসেনি।