ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মাদ্রাসাছাত্র নিহত

হাসিবুল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় ফুটবল খেলায় কিশোরদের বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় এক মাদ্রাসাছাত্র নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চরঝামা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাসিবুল ইসলাম (১৫) চরঝামা গ্রামের মৃত সায়েখ মুন্সীর ছেলে। পার্শ্ববর্তী ঝামা বরকাতুল উলুম মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।

নিহত হাসিবুলের বড় ভাই আমানত মুন্সী জানান, ঘটনার দিন বিকেলে চরঝামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় তরুণেরা ফুটবল খেলছিল। এ সময় মাঠের পাশে একটি দেয়ালের ওপর বসে হাসিবুল খেলা দেখছিল। খেলার মাঠে স্থানীয় বাসিন্দা ইউসুফ মোল্যার ছেলে সুমনের সঙ্গে তাঁর এক চাচাতো ভাইয়ের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এ সময় সুমন গিয়ে তাঁর বাবাকে জানালে তাঁরা লোকজন নিয়ে মাঠে আসে।

আমানত মুন্সী বলেন, ‘আমার এক চাচা মাঠে ঝালমুড়ি বিক্রি করছিলেন, আর পাশেই দেয়ালের ওপর হাসিব বসে ছিল। চাচার ওপর হামলা করলে সে পড়ে যায়। আর হাসিবের বুকে সড়কি মেরে পালিয়ে যায় ইউসুফ মোল্যা ও তাঁর লোকজন। সড়কির কোপে গুরুতর আহত হাসিব চিৎকার করতে করতে পার্শ্ববর্তী ইমরুল মোল্যার বাড়ির উঠোনে গিয়ে পড়ে যায়।’

ইমরুলের স্ত্রী বিথি বলেন, হাসিবকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নিহত হাসিব পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আত্মগোপনে আছে। আর সংঘর্ষে এক নারীসহ তিনজন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম আজ রোববার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, বিবদমান দুটি পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। তবে গতকালের হত্যাকাণ্ড একেবারে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে। যে ফুটবল খেলা নিয়ে বিরোধ, সে খেলায় হাসিব নামের ওই ছেলে অংশই নেয়নি। তার চাচাতো ভাইকে না পেয়ে তাকে মেরেছে। মরদেহ এখন বোয়ালমারী হাসপাতালে আছে। সেখানেই তার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত হবে। নিহত ছাত্রের পরিবার মামলা করেনি এখনো। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।