দুর্বৃত্তদের ছোড়া দাহ্য পদার্থে ঝলসে গেল স্কুলছাত্র ও গৃহশিক্ষক

বরিশাল জেলার মানচিত্র

বরিশালের বাবুগঞ্জে দুর্বৃত্তদের ছোড়া দাহ্য পদার্থে এক স্কুলশিক্ষার্থী ও তার গৃহশিক্ষকের মুখমণ্ডল ও শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে। গত রোববার ভোরে উপজেলার রফিয়াদি গ্রামের ছোট মীরগঞ্জ ব্যাপারীবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা দুজনই শঙ্কামুক্ত।

এলাকাটি বাবুগঞ্জ উপজেলার অন্তর্ভুক্ত হলেও এটি বরিশাল মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার আওতায় পড়েছে। ওই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, তাঁদের বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ ওই দুজনের সঙ্গে কথা বলেছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

আহত দুজন বাবুগঞ্জের রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও উত্তর দেহেরগতি গ্রামের বাসিন্দা উত্তম হালদারের ছেলে উৎপল হালদার (১৫) এবং তার গৃহশিক্ষক রহমতপুর কৃষি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আশীষ মল্লিক (১৮)।

আহত দুজনের পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, রোববার রাতে পার্শ্ববর্তী রফিয়াদি গ্রামের একটি কীর্তন অনুষ্ঠানে যান আশীষ ও উৎপল। অনুষ্ঠান শেষে তাঁরা ওই এলাকার ব্যাপারীবাড়ির একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে দুর্বৃত্তরা জানালা দিয়ে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে। এতে দুজন দগ্ধ হন। তাঁদের ডাকচিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন। পরে দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে গতকাল সকালে পুলিশ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়। কারা দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করেছে, তা তাঁরা দেখেননি।

আহত উৎপলের বড় ভাই উজ্জ্বল হাওলাদার বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে কে বা কারা তাঁদের ওপর দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করেছে। এতে উৎপলের মুখ ও গলার বেশ কিছু অংশ ঝলসে গেছে। আশীষের বাহু পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় তাঁরা মামলা করবেন।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট-৩–এর সহকারী অধ্যাপক মো. আবদুর রহিম বলেন, দাহ্য–জাতীয় পদার্থে তাঁদের শরীরের কিছু অংশ ঝলসে গেছে। তবে তাঁরা দুজনই শঙ্কামুক্ত।