যমজ দুই ভাই পেল জিপিএ–৫, দুজনের নম্বরও একই

আবদুল করিম শান্ত ও আবদুল রহিম শাওনছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার যমজ দুই ভাই আবদুল করিম শান্ত ও আবদুল রহিম শাওন। একই দিনে জন্ম নেওয়া দুই ভাইয়ের চেহারাও প্রায় একই রকম। এবার এসএসসি পরীক্ষায় এই দুই ভাই জিপিএ–৫ অর্জন করেছে। দুজনের নম্বরও একই। যমজ দুই ভাইয়ের এমন সাফল্যে মা–বাবা, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্বজনেরা বেশ খুশি।

আবদুল করিম ও আবদুল রহিম উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী খোকন হাওলাদার ও ঝুমুর বেগম দম্পতির ছেলে। বর্তমানে সুবিদখালী তিন রাস্তার মোড় এলাকায় পরিবারের সঙ্গে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে দুই ভাই। স্থানীয় সুবিদখালী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক উচ্চবিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে তারা এই সাফল্য পেয়েছে। মজার বিষয় হচ্ছে, দুজনের নম্বরই একই, অর্থাৎ ৯৬৯।

আবদুল করিম ও আবদুল রহিম প্রথম আলোকে জানায়, তারা যমজ দুই ভাই একই বিদ্যালয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে দুজনেই জিপিএ-৫ পেয়েছে। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য মা–বাবা সব সময় তাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। বিশেষ করে তাদের মা অনেক কষ্ট করেছেন। এখন ঢাকার নটর ডেম কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। বড় হয়ে দুজনেরই চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা।

মেধাবী দুই যমজ শিক্ষার্থীর মা গৃহিণী ঝুমুর বেগম বলেন, ‘আমার যমজ দুই ছেলে সব সময় মিলেমিশে খেলাধুলা ও পড়াশোনা করে। কখনো ঝগড়াঝাঁটি করতে দেখিনি। দুজনে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাতেও জিপিএ-৫ পেয়ে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। করোনাকালে জেএসসি পরীক্ষা না হলেও ওদের পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালো ছিল। এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেল। দুজনেই পেয়েছে ৯৬৯ নম্বর। এসএসসিতে তাদের এই ফলাফলে আমার পরিবারের সবাই অত্যন্ত খুশি।’

সুবিদখালী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল জলিল বলেন, যমজ দুই ভাই ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই খুবই পরিশ্রমী ছাত্র ছিল। সেই সঙ্গে ওই দুই ভাই অত্যন্ত নম্র, ভদ্র ও বিনয়ী স্বভাবের। ওদের চেষ্টা এভাবে অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে তারা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।