ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা নারী–শিশুসহ ৭ রোহিঙ্গা সুবর্ণচরে আটক

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর
ফাইল ছবি

নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালিয়ে আসা নারী, শিশুসহ সাত রোহিঙ্গাকে সুবর্ণচরে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার চর ক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর এলাকার বাসিন্দারা ওই রোহিঙ্গাদের আটক করে। আজ শনিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয় থেকে চরজব্বার থানার পুলিশ আটক রোহিঙ্গাদের তাদের হেফাজতে নেয়।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, আটক রোহিঙ্গারা ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮৪ নম্বর ক্লাস্টারের বাসিন্দা। তাঁদের আজ বিকেল নাগাদ পুনরায় ভাসানচর ফেরত পাঠানো হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাত তিনটার দিকে অজ্ঞাতনামা নারী, শিশুসহ সাত ব্যক্তি সুবর্ণচরের কেরামতপুর বাজারে ঘোরাফেরা করছিল। একপর্যায়ে বিষয়টি এলাকার বাসিন্দাদের নজরে পড়ে। এ সময় তাদের আটক করে পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তারা নিজেদের রোহিঙ্গা পরিচয় দেয় এবং ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালিয়ে এসেছে বলে জানায়। পরে আটক রোহিঙ্গাদের ইউপি কার্যালয়ে রাখা হয় এবং বিষয়টি চরজব্বার থানায় জানানো হয়।

আটক এই রোহিঙ্গাদের পুনরায় ভাসানচর ফেরত পাঠানো হবে।

আটক রোহিঙ্গারা জানায়, গতকাল রাতে তারা জাহাজ্জারচর এলাকার দালাল মো. ইসহাক, মো. আনোয়ার ও মো. আয়াত উল্যার সহায়তায় ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালিয়ে নদীপথে চর ক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুরে এসেছে। এখান থেকে তাদের কক্সবাজার যাওয়ার কথা ছিল।

রোহিঙ্গাদের পালাতে সহায়তাকারী দালালদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। আজ দুপুরে প্রথম আলোর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর আগে দালালদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। যেসব দালাল শনাক্ত হয়েছেন, কিন্তু এখনো ধরা পড়েননি, তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তারে থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।