সিলেট-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার ঘোষণা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আক্তারুজ্জামানের
সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান দপ্তর সম্পাদক আক্তারুজ্জামান চৌধুরী। আজ সোমবার দুপুরে সিলেট নগরের জেল রোড এলাকার একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এর আগে একই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও লেখক অরূপ রতন চৌধুরী। এ ছাড়া একই আসনে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার কথা রয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরীর।
আজ সংবাদ সম্মেলনে আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ওপর আস্থা রেখে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে বিশ্বনাথ-ওসমানীনগরের মানুষ দলমত–নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। তাই এবারের নির্বাচনে এই আসনে দলটি থেকে সরাসরি প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ এবং বিশ্বনাথ-ওসমানীনগরের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এককাট্টা।
গত দুই নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন জানিয়ে আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা অবগত। গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেওয়া এবং তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে আলাপ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে জনগণের কাছে যাওয়ার এবং কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শেখ শহীদুল ইসলাম; ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া; তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শহীদুর রহমান; বন ও পরিবেশ সম্পাদক আখতার আহমদ মিনছার; সহপ্রচার সম্পাদক সেবুল আহমদ প্রমুখ।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (একাদশ) সিলেটের ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও সিলেট-২ আসনে নির্বাচিত হন গণফোরামের মনোনয়নে নির্বাচন করা মোকাব্বির খান। এ আসনে গত নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান ইয়াহইয়া চৌধুরী।