দাউদকান্দিতে বিজিবির সাবেক সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা

হত্যা
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে জমি নিয়ে বিরোধে বিজিবির এক অবসরপ্রাপ্ত সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের নশিপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। লাশ দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে রাতে পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নিহত ব্যক্তির নাম শামসুল হক (৭৫)। তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নায়েব সুবেদার হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। এর পর থেকে তিনি দাউদকান্দির নশিপুর গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। তাঁর তিন ছেলের মধ্যে এক ছেলে বিদেশে, এক ছেলে ঢাকায় ও এক ছেলে চট্টগ্রামে থাকেন।

দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোবিন্দ চন্দ্র দাস বলেন, খবর পেয়ে মডেল থানার ওসি মো. মোজাম্মেল হকসহ পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছে তথ্য নিচ্ছেন।

দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফারজানা আক্তার সুমী বলেন, শামসুল হককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। শামসুল হকের বুকে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বসতবাড়ির মাঝের আড়াই শতক জায়গার দখল নিয়ে প্রতিবেশী কামাল মিয়ার সঙ্গে শামসুল হকের দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল।

নিহত শামসুল হকের মেয়ে শিরিন আক্তার ও লিপি আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রথম আলোকে জানান, বসতবাড়ির মাঝের আড়াই শতক জায়গার দখল নিয়ে প্রতিবেশী (গাড়িচালক) কামাল মিয়ার সঙ্গে শামসুল হকের দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলাও চলমান। শামসুল হক তাঁর নিজের সম্পত্তি রক্ষার জন্য প্রথমে কুমিল্লা আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা করেন। পরে কামাল মিয়াও কুমিল্লা আদালতে একটি পাল্টা মামলা করেন। ৭ নভেম্বর আদালতে মামলার হাজিরা ছিল। কামাল মিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে হাজিরা দিতে যাননি। আজ সন্ধ্যায় শামসুল হককে বসতবাড়িতে একা পেয়ে কামাল মিয়া, তাঁর স্ত্রী জাকিয়া বেগম, মেয়ে রিয়া আক্তার, ভাই আবদুল কাদির, মোস্তফা কামাল, রহমত আলী, হাবিব মিয়া, বোন আরমিন আক্তার, স্বর্ণালী আক্তার মিলিত হয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় কামাল মিয়া ও তাঁর স্ত্রী জাকিয়া আক্তারকে রাতে মডেল থানা পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে। দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সারোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর জন্য থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।